সংকট বেশি দিন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

103899_1

নিউজ ডেস্ক: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০- দলের হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট চলমান সংকট বেশি দিন থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি রবিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে এ আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১৯টি ‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ উদ্বোধন করেন ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মুক্ত করেন।

এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অচিরেই এ সংকট থেকে উত্তরণের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই যথেষ্ট অগ্রগতি আমরা লাভ করছি। শুধু দুর্ভাগ্য যে, মাঝখানে কিছু সমস্যা এখনো হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এই জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন করা; এসব কারণে কিছুটা সময়ের জন্য সমস্যা…। তবে আমরা আশা করি, এসব সমস্যা বেশি দিন থাকবে না। আমরা অচিরেই এসব সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের কোনো কার্যকরিতা নেই। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।’

সারাদেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল সেন্টার থেকে সাধারণ মানুষ তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় জীবনযাত্রা আরও সহজ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি খাতে আমরা শুধু গার্মেন্টস নিয়েই চিন্তা করব না। আমাদের আরও সুযোগ আছে। বিশেষ করে আইটি সেক্টরে সফটওয়্যার তৈরি করা, বাইরে পাঠানোসহ আইটি সেক্টরের অনেক কিছুই আমরা তৈরি করতে পারি।’

তিনি বলেন, একটি দেশ বা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যদি সে জাতি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আর বর্তমান বিশ্বটাই হচ্ছে প্রযুক্তির বিশ্ব। কাজেই প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। কিন্তু দ্রুত শুরু করতে না পারলে আমরা শেষ করতে পারব না।’

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। স্বল্প সময়ের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (ফোর জি) সেবার ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অর্জন, এখানে ধনী দরিদ্রের আয় বৈষম্য কমে যাচ্ছে। গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’


শেয়ার করুন