শোকাতর বাংলাদেশ

file
গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে দুইদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

গত শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে রেস্টুরেন্টটি দখলে নিয়ে সেখানে খেতে আসা দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক হত্যার পরদিন শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে রেডিও ও টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে দুইদিনের রাষ্ট্রীয় এ শোক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে অফিস-আদালতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে, যদিও সারাদেশে শব-ই কদর উপলক্ষে দিনটি সরকারি ছুটির। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে শোক পালন করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী, জিম্মি করা হয় রাতের খাবার খেতে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার (২ জুলাই) সকালে কমান্ডো অভিযানে ওই রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিম্মিদের ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায় ওই রেস্টুরেন্ট তল্লাশি করে।

নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানি ও ১ জন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

রেস্টুরেন্টে হামলার পরপরই সেখানে আটকেপড়াদের উদ্ধারে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা-গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন।

শনিবার (২ জুলাই) রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে গুলশানে নিহতদের স্মরণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবি ও সোমবার শোক পালনের বিষয়ে আদেশ জারি করে।

নিহত হয়েছেন যারা

বাংলাদেশিরা হচ্ছেন— ইশরাত আখন্দ, অবিন্তা কবীর ও ফারাজ হোসেন।
ইতালির নাগরিকরা হচ্ছেন— নাদিয়া বেনেদিত্তো, ভিনসেনজো দ আলেস্ত্রো, ক্লদিও মারিয়া দান্তোনা, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, আডেলে পুগলিসি, ক্লদিও চাপেলি, ক্রিস্টিয়ান রোসিস ও মারকো তোনডাট।

জাপানি নাগরিকরা হচ্ছেন— তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো। আর ভারতীয় নাগরিক হচ্ছেন তারিশি জৈন।


শেয়ার করুন