শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: ফ্রিডম পার্টির ১১ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড


ঢাকা: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আবদুর রশীদসহ ফ্রিডম পার্টির ১১ নেতাকর্মীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলার ১২ জন আসামির মধ্য একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর একই আদালত এ দিন ধার্য করেন।

রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামি লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, জাফর আহম্মদ ওরফে মানিক ও হুমায়ুন কবির আদালতে আত্মসমর্পণ করা কিংবা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তর হওয়ার সময় হতে তাদের সাজার মেয়াদ শুরু হবে।

এ মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, খন্দকার আমিরুল ইসলাম, গাজী ইমাম হোসেন, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।

দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে রশীদ, জাফর ও হুমায়ুন কবির ওরফে হুমায়ুন পলাতক। বাকিদের মধ্যে জামিনে থাকা মিজান, ইমাম হোসেন, কাজল রায়ের জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কারাগারে থাকা মামুন, সোহেল, মুরাদ ও জর্জ মিয়াকেও আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

কিন্তু জামিনে থাকা শাজাহান বালুর জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পরও তিনি না আসায় বিচারক তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

এ ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।

পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১১ জনকে অভিযুক্ত করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।


শেয়ার করুন