শেখ কামাল ছিল খেলার সাথী

Untitled-15শেখ কামালের ৬৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শেখ কামাল আমার দু’বছরের ছোট ছিল। তার প্রতিভা ছিল বহুমুখি। লেখাপড়া ও খেলাধূলার পাশাপাশি নাটক, গান এবং চমৎকার সেতার বাজাতে পারতো। সে ছিল আমার খেলার সাথী।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠে আবাহনী লিমিটেড আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এভাবেই শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসবের পাশাপাশে সে রাজনীতিতেও ছিল সক্রিয়। প্রত্যেকটি আন্দোলন ও সংগ্রামে ছিল তার অগ্রণী ভূমিকা। সে ছিল মুক্তিযুদ্ধেরও সংগঠক। ধানমন্ডি এলাকায় ব্যারিকেট দেয়ার ভূমিকায় ছিল সে। কিন্তু ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে রক্তের বন্যায় ভেসে যায় আমার পুরো পরিবার। সেদিন তারা আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করে।’

আবাহনী ক্লাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আবাহনী ক্লাব শেখ কামালের হাতে গড়া ক্লাব। ছেলে-মেয়েদের খেলাধূলায় উৎসাহিত করাই ছিল কামালের প্রধান লক্ষ্য। সমাজকে যদি ভালো কিছু দিতে হয় এবং সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে হয়, দেশকে যদি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হয় সেজন্য খেলাধূলাই হলো অন্যতম। সেটাই শেখ কামাল করেছিল। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাদের আরো কিছু দিতো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর এ আবাহনী ক্লাবের ওপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। কিন্তু ক্লাবের প্রতিটি সদস্যই ছিল নিবেদিত প্রাণ। আর নিবেদিত প্রাণ ছিল বলেই আজ এ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে। আবাহনী ক্লাবে একটি কমপ্লেক্স হবে। আমি জানি এটা অনেক বড় পরিকল্পনা এবং ব্যয় বহুল। তা শুরু হয়ে গেলে আশা করি কোনো সমস্যা হবে না। এটা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি। এটা যেন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্তমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠে।’

বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেই বাঙালিই তাকে হত্যা করেছে। ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করে বাঙালি জাতির গর্ব ধূলায় মিশিয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ছিল, সব ক্ষেত্রে যেন বাঙালি এগিয়ে যেতে পারে। অর্থনীতির মুক্তির জন্য তিনি কাজ করে গেছেন। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’


শেয়ার করুন