শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হলে ১ লা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলন: সন্তু লারমা

download (2)রিপন চক্র বর্ত্তী, বান্দরবান।

পাবত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে ১লা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে ।
বান্দরবানের ফারুকপাড়া কমিনিউটি হলে শুক্রবার দুপুরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার ১৬তম বার্ষিকী ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা এ সব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মংস্ত মার্মা।জুন্ম জনগণের বিরুদ্ধে সব রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন রুখতে পাবত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধের ডাক দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সময়সূচি ভিত্তিক কাযকর কর্মপরিকল্পনা যদি হাতে না নিয়ে থাকে, তাহলে পাবত্য অঞ্চলের বুকে ১ লা মে থেকে লড়াই শুরু হবে। যা চুক্তি কাযকর না হওয়া পযন্ত চলতে থাকবে।এতে রক্ত প্রয়োজন হলে রক্ত দেওয়া হবে।চুক্তি কাযকর না হওয়া পয্যন্ত আমরা পিছ পা হবো না।’
তিনি বতমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে আরো বলেন, ‘আমরা বতমানে শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে জীবনধারণ করতে বাধ্য হচ্ছি, এই জীবনকে মেনে নিতে পারি না, পারব না। আমরা সুষ্ঠু জীবন ফিরে পেতে চায়। সুন্দর জীবন চাই।’তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা পাবত্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলাম, এখন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সরকার বড় বড় বুলি আওড়িয়ে বলছে চুক্তি বাস্তবায়ন করছে। অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। কাযত অধিকাংশ চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ক্য এস মং, পাবত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) জেলা সভাপতি মিল্টন ত্রিপুরা, জলি মং মার্মা, ক্যা বা মং মার্মা, অং থোয়াই চিং মার্মা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতারাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সন্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকে জেলার রুমা, লামা, আলীকদমসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের শত শত নেতা-কর্মীরা আসতে থাকেন।গত ১১ মার্চ সন্তু লারমার বান্দরবান সফর ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে ‘জাগো পাবত্যবাসী’ নামের বাঙালি একটি সংগঠন হরতালের ডাক দিলে জেলায় জেএসএস ও জাগো পাবত্যবাসী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়।এই সন্মেলনকে ঘিরে অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ এবং সেনা সদস্যরা ছিল সতক অবস্থায়।


শেয়ার করুন