শহরে চোর-ছিনতাইকারী ও বখাটেদের উৎপাত

নুরুল আমিন হেলালী
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি শপিংমলে কেনাকাটা জমে উঠেছে চোখে পড়ার মত । এই সুযোগে আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে চোর-ছিনতাইকারী ও বকাটেদের উৎপাত। সরেজমিনে পর্যটন নগরীর সব ধরণের শপিং মল এবং মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক ধরণের ব্যস্ততা। তবে ক্রেতারা আতংকিত শপিং মলগুলোর সামনে উৎপেতে থাকা ছিনতাইকারী ও বকে যাওয়া রোমিওদের পদচারণায়। সূত্র জানায়, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের শপিং মলগুলোতে পছন্দের কেনাকাটা করতে আসা তরুণীদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করছে ভবঘুরে বিপদগামী কিছু উশৃঙ্খল যুবক। ঈদগাঁও থেকে পরিবারের সাথে কেনাকাটা করতে আসা কলেজছাত্রী আসমা সোলতানা জানায়, তারা পছন্দের কাপড় কিনতে এসেছিল শহরের অভিজাত শপিংমল ফিরোজা শপিং কম্পেøক্সে। মার্কেটের সামনে থেকে কয়েক যুবক তাকে অনুসরণ করে পিছু নেয়। যেই দোকানেই যাচ্ছে সেখানেই তারা গিয়ে হাজির । এক সময় নির্লজ্জের মতো অপরিচিত এক যুবক সামনে গিয়ে তাকে কিছু বলার চেষ্টা করছিল। এতে তারা বিব্রতবোধ করে তাড়াতাড়ি মার্কেট ত্যাগ করে চলে যেতে বাধ্য হয় খালি হাতে। এ রকম অসংখ্য ইভটিজিংয়ের অভিযোগ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে মোটর সাইকেল পার্কিং করে বসে থাকা এ সব উশৃঙ্খল রোমিওদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে, পরিবারের বিপদগামী বকে যাওয়া কিছু বখাটে যুবক লাইসেন্সবিহীন দামি মোটর সাইকেল হাকিয়ে পিছু নিচ্ছে কেনাকাটা করতে আসা যুবতী, স্কুল-কলেজছাত্রী থেকে শুরু করে সুন্দরী মহিলাদের পেছনেও। অনেক সময় অপরিচিত মহিলা দেখলেই তারা ছুড়ে দিচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অশালীন বাক্য। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ওই রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ অনেকের। এছাড়া আসন্ন ঈদে ক্রেতাদের পছন্দসই কেনাকাটার ব্যস্ততায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। সুযোগ বুঝেই তারা গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল লোকজনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, ভ্যানিটি ব্যাগ সহ স্বর্ণালংকারও। গতকাল ফজল মার্কেটের সামনে কিছুলোক ঘিরে ধরেছিলেন ২০ বছর বয়সী এক যুবককে। জানতে চাইলে এক মহিলা জানান, টমটমে একসাথে আসার সুযোগে ওই যুবক হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করলে সাথে সাথে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অন্যদিকে ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে শহরে আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট। সুযোগ বুঝেই তারা গাড়ির মালিকদের অগোচরে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে অনেকের শখের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল। হাসপাতালের সামনে থেকে গত একসপ্তাহে ৩টি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। কলাতলী ফ্রেশইন রেস্তোরার মালিক নুরুল কবির জানান, গত ৫ জুন তিনি সদর হাসপাতালে এক রোগী দেখতে এসেিেছলেন। রোগী দেখে নামার ১০ মিনিটের মধ্যেই দেখলেন তার মোটর সাইকেল চুরি হয়ে গেছে। এভাবেই ঈদ মৌসুমকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিহৃত চোর সিন্ডিকেট। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের জানমাল ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঐ সমস্ত বখাটে,চোর ও ছিনতাইকারীদের প্রতি নজরদারি জোরদার করার দাবী ক্রেতা-বিক্রেতাদের।