শহরের ফুটপাত এখন অবৈধ দখলে

newsমনিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, সিটিএনঃ
শহরে বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা স্থাপনার কারণে নেই কোন চলাচলের জায়গা, ফলে রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। এতে করে বিভিন্ন ভাবে যানযটের সৃষ্টি হয়, সম্মূখীন হতে হয় দুর্ঘটনার। ফুটপাতের উপর অস্থায়ীভাবে জায়গা দখল করে বেচা কেনা শুরু করেছে বিভিন্ন বিক্রেতা। প্রশাসনের চোখে ধুলি দিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার ঘাটা, লালদিঘির পাড় সহ ভোলাবাবুর পেট্রোপাম্পের ফুটপাতের স্থান দখল করে নিয়েছে ফল ও মাছ বিক্রেতারা। হাটার জন্য যতেষ্ট পরিমান জায়গা না থাকায় প্রধান সড়ককেই হাটার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে পথচারীরা।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন প্রকার অস্থায়ী দোকানপাট তৈরী করে কেনাবেচার কারণে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ লাইনের যানজট। শুধু বাজারঘাটা নয় বরং ভোলাবাবুর পেট্রোলপাম্প, হাসপাতাল সড়ক, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়ক, ফাইয়ার সাভিসের পাশে, বন বিভাগের সামনেও চলছে তাদের রাজত্ব।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু অসাধু চাঁদাবাজ রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ার আশ্রয়ে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শত শত অবৈধ দোকান ঘর বসিয়ে মোটা অংকের ভাড়া আদায় করছে। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নয় বরং দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরাও তাদের কাছ থেকে দৈনিক এবং মাসিক হারে মাসুহারা নিয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও উচ্ছেদের পর পরই দেখা যায় পুনরায় একই পরিসরে তা আবারও স্থাপন করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে যদি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির কোন অবৈধ স্থাপনা থাকে তবে তা তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে উচ্ছেদ তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘‘প্রতিদিন অফিসের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হাসপাতাল সড়কের চার রাস্তার মোড়ে ুফুটপাতের পাশে অবস্থিত বিভিন্ন ধরণের সবজি, ফলের দোকান থাকার কারণে চলাফেরার মধ্যে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।” এতে করে রাস্তার উপর থেকে চলাফেরা করতে হয় এবং বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন যানজটের সম্মুখীন হচ্ছে। সাধারণ মানুষ রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। এই সব দিক বিবেচনা করে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার পৌরসভা মেয়র মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বললে জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম। তবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যত দিন পর্যন্ত আমি থাকব ততদিন এই কক্সবাজারবাসীর সেবা করে যাব এবং এই পর্যটন কক্সবাজারকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলব। এতে যদি রাজনৈতিক দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলবে………


শেয়ার করুন