শরীয়ত মোতাবেক কোরবানির পশু যেমন হওয়া চাই

2015_09_17_20_32_20_jn9ZDGxM37WqUX2V0K3zxACoUwh6Jc_originalকোরবানির জন্য পশু কিনতে হবে। কিন্তু কোন ধরনের পশু কোরবানির জন্য কিনবেন তা হয়তো অনেকের কাছেই দুশ্চিন্তার বিষয়। যেনতেন পশু কিনলেই চলবে না। পশুটি অবশ্যই শরীয়তের বিধি-বিধান সম্মত হতে হবে।

শরীয়ত মোতাবেক পশু নির্বাচনের উপায়:
ক) কোরবানির পশু ভালো এবং হৃষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম।
খ) যে প্রাণী লেংড়া অর্থাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে-এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এরূপ পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।
গ) যে পশুর একটিও দাঁত নেই তা দিয়েও কোরবানি হবে না।
ঘ) যে পশুর কান জন্ম থেকে নেই তা দিয়ে কোরবানি হয় না।
ঙ) যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙে যায় তা দিয়েও কোরবানি দুরস্ত নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমান ভেঙে গেছে এরূপ পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ আছে।
চ) যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট তা দিয়েও কোরবানি জায়েজ নেই।
ছ) যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে বেশি কেটে গেছে তা দিয়েও কোরবানি হবে না।
জ) অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু যার এতটুকু শক্তি নেই যে, জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে, তা দিয়েও কোরবানি দুরস্ত নয়।
ঝ) গর্ভবতী পশু কোরবানি করা জায়েজ। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সে বাচ্চাও জবাই করে দিতে হবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরূপ পশু কোরবানি দেয়া মাকরুহ।
ঞ) বন্ধ্যা পশু কোরবানি করা জায়েজ আছে।

কোরবানির পশুর বয়স প্রসঙ্গ:
ক) বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে। বয়স যদি কিছু কমও হয় কিন্তু এরূপ মোটা তাজা যে, এক বছর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি জায়েজ আছে। তবে অন্তত ছয় মাস বয়স হতেই হবে। কিন্তু বকরী কোনো অবস্থা এক বৎসরের কম হলে চলবে না।
খ) গরু ও মহিষের বয়স কমপক্ষে দুই বৎসর হতে হবে।
গ) উটের বয়স কপক্ষে পাঁচ বৎসর হতে হবে।

কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ:
বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, দুম্বা, গাভী, ষাঁড়, বলদ, মহিষ, উট এই কয় প্রকার গৃহপালিত পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ।


শেয়ার করুন