শরতে সুস্থ থাকতে করণীয়

2015_09_29_12_44_36_F4lJZTt8E0ekbSEDptol7EunoAyFbA_256xautoলাইফস্টাইল ডেস্ক: 
ঋতু বৈচিত্রতায় শরতের উপস্থিতি কখনো ভ্যাপসা গরমে, কখনো মৃদু শীতে। এ সময়ে অসুস্থ হওয়ার জন্য টুকিটাকি কারণের অভাব থাকে না। সামন্যতেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা। নাওয়া, খাওয়াতে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয় অনেক বেশি। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত এই সমস্যায় ভুগতে পারে।

এ ঋতুতে কমবেশি অনেকেই ঠাণ্ডা-জ্বরের সমস্যায় ভুগছেন। প্রথম কারণ হিসেবে ধরা যায়- সন্ধ্যায় লোকালয়ে হালকা কুয়াশার চুপিসারে প্রবেশ। বাইরে ঘোরাফেরার সময় মাথাসহ আমাদের পুরো শরীর কখন যে ভিজিয়ে দেয় টের পাওয়া দুষ্কর। সারাদিনের গরম শেষে কুয়াশার মৃদু পরশ বেশ ভালোই লাগে, তাই আরও কিছু সময় বাইরে কাটানোর অজুহাত খুঁজি। কিন্তু এতেই ডেকে আনতে পারে সর্দি জনিত নানা সমস্যা। তাই বাইরে থাকার সময় উচিৎ মাথায় রোমাল বা ওড়না ব্যাবহার করা।

গরম পড়লেও বিছানায় পাতলা কাঁথা বা বড় পুরু কাপড় রেখে দিন। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে ভালভাবে মুখহাত ধুলে গরম কম লাগে। কাশির সমস্যা থাকলে নরম কোনো কাপড় বা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে কাশি বা টনসিলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়া ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম লবণ পানি গড়গড়া করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ভোরে শীত লাগবে তাই বলে তো আর ফ্যান ছাড়া ঘুমানো সম্ভব না। এবার অনুভূত তাপমাত্রার চেয়ে ফ্যানের ঘোরার মাত্রাটা একটু কমিয়ে দিয়ে ঘুমান নিশ্চিন্তে। যখন হালকা শীত অনুভব হবে জড়িয়ে নিতে পারেন হাতের কাছে রাখা কাঁথাটি। এতে ঘুমটি যেমন হবে আরামের তেমনি ঠাণ্ডা লাগা থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।

জ্বর-কাশিতে বাধা দেয়া বা সারাতে খুবই কার্যকর তুলসি পাতার রস। সকালে মধুর সঙ্গে খেতে পারেন ৩ থেকে ৪ দিন। বড়দের চেয়ে বাচ্চারা দ্রুত অসুস্থ হয়, তাই তাদের জন্য থাকুক একটু বাড়তি যত্ন।

যারা এসির বাতাসে দিনভর কাজ করেন, তারা পা মোড়ানো জুতা এবং অপেক্ষাকৃত একটু পুরু কাপড় পরিধান করতে পারেন। চা-কফির উষ্ণ পরশ নিতে থাকুন মাঝে মাঝেই। আদা-চা বা তুলশী চা হলে প্রতিরক্ষার দেয়ালটি অনেক বেশি মজবুত হয় আর কি। এ সময় গরম লাগলেও ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি সরাসরি না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া সব সময়ই গরম পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস রাখলে রোগজীবানু দূরে থাকবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রাখতে পারেন ছোটখাটো ব্যায়ামের অভ্যাস।এছাড়া পোশাক-পরিচ্ছদ এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে অসুস্থতা এড়িয়ে চলা সম্ভব।


শেয়ার করুন