শচীনের গুরু ভক্তি

imageদততত-300x253রমাকান্ত আচরেকারকে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া জানে কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের ছোটবেলার কোচ হিসেবে। আচ্ছা বলুন তো, আর কোন ক্রিকেটারের ছোটবেলার কোচ কী এত বিখ্যাত! এখানেই চলে আসে লিটল মাষ্টারের নাম। শুধু ভারতীয় ক্রিকেটেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেই পরম পূজনীয় ব্যক্তিত্ব শচীন রমেশ টেন্ডুলকার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরি। টেস্ট এবং ওয়ানডে দু’ধরণের ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান। ২০১৩ সালের নভেম্বরে অবসরে যাওয়ার আগে শচীনের ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্য ছিল দুই যুগেরও বেশি। সেই তিনি এখনও ছুটে যান ছোটবেলার গুরু আচরেকারের কাছে।

গুরুপূর্ণিমার দিন শুক্রবারও গিয়েছিলেন শচীন গুরুর পদধূলি নিতে। সেখান থেকে ফিরে ভারতীয় ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ নিজের ছবি টুইট করে লিখেছেন,‘এই পূণ্য তিথিতে গুরুর আশীর্বাদ নিলাম। সবাইকে গুরুপূর্ণিমার শুভেচ্ছা।’ এখানে বলা ভালো, গুরুপূর্ণিমার দিনে ভারতীয়রা যে যার গুরুর আশির্বাদ নিয়ে থাকেন। শচীনও প্রতিবছরের এইদিনে গুরুর আশীর্বাদ নিতে ভুল করেন না। এমনকি দেশের বাইরে থাকলেও।

আচরেকার কিভাবে ছোট্ট শচীনকে ক্রিকেট শিখিয়েছিলেন তা নিয়ে একবার এক সাক্ষাৎকারে লিটল মাষ্টার বলেছিলেন, ‘তিনি (আচরেকার) আমাকে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করানোর জন্য স্ট্যাম্পের উপর কয়েন রাখতেন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারলে ওই কয়েনগুলো আমার হয়ে যেত।’ কয়েনগুলো শচীনের কাছে এত মূল্যবান ছিল যে সেগুলো এখনও সযত্নে রেখে দিয়েছেন।

সেই কোচকে শচীন ভুলবেন কী করে? তাই তো ২০১৩ সালে জীবনের শেষ টেস্ট খেলার আগে স্বয়ং শচীন নিজে গিয়ে আচরেকারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অসুস্থ ৮৩ বছর বয়সী আচরেকারের জীবনে আর কী অপ্রাপ্তি থাকতে পারে?

তাই তো অনেকের চোখেই, ক্রিকেটার শচীন যতটা না বড়, তার চেয়েও বড় ‘মানুষ শচীন’।


শেয়ার করুন