লেদা রোহিঙ্গা বস্তির শফি মাঝি কারাগারে

1b1ee036-8aab-404d-9e8d-1ac87c1d3edbআমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ 

অবশেষে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির ব্লক মাঝি বহু অপকর্মের হোতা মো: শফি মাঝি (৫০) কে নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করেছে পুলিশ। ১৩ ফেব্রুয়ারী রাত ১টার দিকে টেকনাফ থানার সবুজের নেতৃত্বে পুলিশ লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
সে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে বসবাসকারী মিয়ানমার বুচিডং এলাকার মৃত দুদু মিয়ার পুত্র।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারী টেকনাফ থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রিংকন চৌধুরী একই অভিযোগে তাকে আটক করলেও থানা হাজতে এক রাত রাখার পর শফির অপকর্মের আশ্রয় প্রশয় দাতা রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী আমীর হোসেনের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা প্রেমী স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের তদবিরে থানা হাজত থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে শফিকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরন করায় ভূক্তভোগীদের মাঝে স্বস্থি দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য রোহিঙ্গা বস্তির ই-ব্লকের আইয়ুব খানের স্ত্রী হাসিনা বেগমের আদালতে দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সাধারন রোহিঙ্গারা জানায়, বহু অপকর্মের হোতা এই শফি মানব পাচার, ইয়াবা, ডাকাতির পৃষ্টপোষকতা ছাড়াও কথায় কথায় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের শারিরীক ও যৌন নির্যাতন চালিয়ে গেলেও ভয়ে কেউ মুখ ফোটে প্রতিবাদ জানাতে পারতো না। কেউ প্রতিবাদ জানালেও তাকে ভয়-ভীতি সহ নানা কায়দায় দমিয়ে রাখা হতো।
এছাড়া বস্তির কক্ষ বিক্রি বানিজ্য ছিল তার আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। তার অবৈধ আয়ের ভাগ তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা রোহিঙ্গা বস্তির সেক্রেটারী আমীর হোসেনসহ, রোহিঙ্গা প্রেমী স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে পৌঁছে যেত। এভাবে সে দীর্ঘদিন বস্তিতে রাম রাজত্ব কায়েম করে গেলেও অবশেষে দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার হাসিনার দায়ের করা মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হলো।


শেয়ার করুন