হ্নীলার

লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেক্রেটারী অপহরণ

download (2)টেকনাফ প্রতিনিধি:

হ্নীলার লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সেক্রেটারী আমির হোছাইনকে ফিল্মস্টাইলে অপহরণ করা হয়েছে। ২১এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। অপহরণের শিকার আমির হোছাইন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকের ২৪৮নং কক্ষের অধিবাসী।
তিনি মিয়ানমারের বুচিদং এলাকার চিংদং গ্রামের জনৈক আলম শাহের ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের জনক।
খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার কাঞ্চনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও লেদা বিওপির কোম্পানী কমান্ডারের নেতৃত্বে বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়েছেন।
সুত্র মতে, ক্যাম্প সেক্রেটারী রাতের খাবার খেয়ে ই ও ডি ব্লকের মাঝামাঝি স্থানের জনৈক ইউসুফের দোকানের সামনে বসে ফোনালাপ করছিলেন। ঐসময় ৮/১০জনের সশস্ত্র যুবক মুখোশ পরিহিত অবস্থায় লোকজনের সামনে আমির হোছাইনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। উপস্থিত লোকজন এক ধরণের নিরব দর্শকের ভুমিকায় ছিলেন। তবে তার নিকটাত্মীয়রা এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা তাদেরকে মারধর করে উলঙ্গ অবস্থায় আমির হোছাইনকে মারধর করতে করতে পাশ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে যায়।
মাস্টার আব্দুল জাব্বার এবং জনৈক এক মহিলা এপ্রতিবেদককে জানান, অপহরণকারীরা অন্তত ৩০/৩২ বছরের বয়সী হবে। কন্ঠ টন্ঠ রোহিঙ্গাদের মত মনে হয়েছে। ক্যাম্পের একাধিক লোকজন জানান, নেতৃত্বের কারণে মূলত ঘটনাটি ঘটেছে।
আমির হোছাইনের স্ত্রী জোবাইদা ও বোন হাবিবা জানান, নেতৃত্ব সহ্য করতে না পেরে ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির লোকজন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছে। তাঁরা বর্তমান ক্যাম্প সভাপতি সহ তৎসংশ্লিষ্ট কিছু লোককে সন্দেহ করছেন।
তবে ক্যাম্প সভাপতি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।
৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল হুদা জানান, লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরে এলাকাবাসীদের দিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছি। তিনি ঘটনাটি হয়ত রোহিঙ্গাদের মাঝে সৃষ্ট অন্তঃকোন্দলের কারণে বলে মনে করেন। টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহ্রত ক্যাম্প সেক্রেটারীকে উদ্ধারের জন্য আমরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।


শেয়ার করুন