একান্ত সাক্ষাতকারে মো: জহিরুল ইসলাম

লামা পৌর নির্বাচনে দলের চেয়ে ব্যক্তির ইমেজ বেশি

23efaf36-7179-421f-a648-3bfe0eb2a753এম বশিরুল আলম, লামা :

মেয়র নির্বাচিত হলে লামা পৌরসভার উন্নয়নে কোন কোন খাতকে প্রাধান্য দেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে, সরকার দলীয় প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, অবহেলিত লামা পৌর শহরকে আধুনিকায়ন করণসহ, নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও পৌরবাসির মৌলিক সমস্যা, পানিয় জলের ব্যবস্থা সু-নিশ্চিত করবো। সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে আওয়ামীলীগ সরকার, তথা জাতির জনক কণ্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বান্দরবানের গণ মানুষের নেতা পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর অত্রালাকায় ব্যপক উন্নয়ন করেছেন। এসব উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় লামা পৌরবাসি বদ্ধ পরিকর। লামা পৌরসভা নির্বাচন-১৫’র মেয়র প্রার্থী মো: জহিরুল ইসলাম- ১১ ডিসেম্বর একান্ত সাক্ষাতকারে লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন।
সংবাদ প্রতিনিধি : কেমন আছেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা কেমন চলছে এবং জনগনের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

জহিরুল ইসলাম : ইনশ্ াআল্লাহ সকলের দোয়ায় ভাল এবং সুস্থ আছি। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছি। তখন থেকে শুরু করে আজ অবধি গনমানুষের কাছে রয়েছি। লামার মানুষের ভালবাসায় ও দলীয় সিনিয়রদের বিশেষ করে আধুনিক বান্দরবানের রুপুকার পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর- ও বান্দরবান জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান বাবু ক্যাশহ্লা-এর ¯েœহ ধন্য হয়ে আমি গনমানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। মানুষ আমাকে অন্তর থেকে দোয়া করেন এবং ভাল বাসেন। “চাই উন্নয়ন, তাই দলের চেয়ে ব্যক্তিই বড়” এই শ্লোগাানে-স্বর ধ্বনিত হচ্ছে ভোটারদের মুখে-মুখে, তাই  দলমত,মত, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে গন মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে, তাদের দোয়া ও ভাল বাসার প্রতি ফলন ঘটাবেন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। সুতরাং বর্তমান বাস্তবতায় লামা পৌরবাসির কাছে প্রতীকের চেয়ে উন্নয়নের জন্যে ব্যক্তির প্রয়োজন বেশি বলে সাড়া মিলছে।

সংবাদ প্রতিনিধি: মেয়র নির্বাচিত হলে আপনি লামা পৌরসভার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন?
জহিরুল ইসলাম : মহান সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছায় ও পৌরবাসির ভালবাসায় আমি নির্বাচিত হলে, প্রথমে লামা পৌর নাগরিকদের সাথে আলোচনা করেই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব কোন বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া দরকার। ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত লামা পৌরসভার যে টুকু উন্নয়ন হয়েছিল, পরের ৫ বছরে সে ওইসব উন্নয়নের বাহিরে কিছুই হয়নি। সরকার উন্নয়ন ঘরে এনে দেবেন না। সরকারের এমপি, মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে উন্নয়ন বরাদ্দ আনতে হয়। লামা পৌরসভাকে ২য় শ্রেণিতে মানোন্নয়ন করতে হবে। পৌর নাগরিকদের মৌলিক সমস্যা পানীয়জলের সংকট নিরষনে টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শহরকে পরিস্কার পরিচ্চন্ন রাখার প্রয়োজনে, গণশোচাগার, পয়:নিস্কাশন- ড্রেনেজ ব্যবস্থা জোরদার, অলিগলি সংস্কারসহ বন্যা নিয়ন্ত্রনে স্থায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। ৯টি ওয়ার্ডে সড়ক নেট ওয়ার্ক গড়ে তুলে আন্ত মহল্লায় যোগাযোগ স্থাপন ও বিদ্যুত সুবিধা নিশ্চত করা দরকার। প্রজম্মের আধুনিক জীবন মানসম্পন্ন পরিবেশ গড়ার লক্ষে, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা,মসজিদ, মন্দির, ক্যায়াং, পেগোড়াসহ সামাজিক সংগঠন গুলোর ব্যপক উন্নয়ন প্রয়োজন। পৌরবাসির শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি পারিবারিক বিরোধ নিস্পত্তি ও সামজিক অবয়বে ভ্রাতৃত্ব বোধ, সম্প্রীতি ও সহাবস্থান বজায় রাখতে উদার নীতি গ্রহন করতে হবে। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্ঠির মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী ও বেকার জনগোষ্ঠির আর্থকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবে দুর্যোগ কালীনসময়ে জান-মাল রক্ষাকল্পে পৌর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলোতে সাইক্লন সেন্টার নির্মাণ করে বিপর্যয় মোকাবেলার স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে বলে সরকার দলীয় প্রার্থী জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।


শেয়ার করুন