১৯৮৩ সালে স্থগিত জেলা

লামাকে জেলা করার দাবীতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামছে

lama photo- (1)এম.বশিরুল আলম, লামা :

“সাবেক মহকুমা লামাকে জেলা কর করতে হবে, লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি নিয়ে

পূর্ব ঘোষিত জেলা লামাকে জেলা পুর্নবহাল কর করতে হবে, লামা উপজেলায় কারিগরি স্কুল স্থাপন কর করতে হবে, লামা মিরিঞ্জিা পর্যটন কেন্দ্র’র উন্নয়ন বরাদ্দ কর করতে হবে, লামার গজালিয়াকে পূর্ব ঘোষিত থানা পুর্নবহাল কর করতে হবে, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীকে পূর্ব ঘোষিত থানা পুর্নবহাল কর করতে হবে” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত লামা নাগরিক ফোরাম ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে ব্যপক পোষ্টারিং হয়েছে লামা উপজেলা ব্যপি।

সূত্রে প্রকাশ, এরশাদ সরকার ৮০’র দশকে দেশের ৪৭ টি মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেন। সে সাথে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গণমুখী করতে বেশ কয়েকটি নতুন এলাকাকে থানায় রপান্তরিত করা হয়। ১৯৮২-৮৩ সালে দেশের এক দশমাংশ ভু-আয়তন পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি, রামগড়, বান্দরবান ও লামা মহকুমাকে পুর্নাঙ্গ জেলা ঘোষণা করেন। একই বিবেচনায় সরকার বান্দরবানের লামা মহকুমাধিন আলীকদম, গজালিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নকে থানা ঘোষণা করেছিলেন। জন সংখ্যার সল্পতাহেতু সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত এসব জেলা ও থানা তার কিছুদিন পরেই স্থগিত হয়ে যায়। পার্বত্যালাকায় শুধুমাত্র আলীকদমকে থানা হিসেবে বহাল রেখে, বান্দরবানের জনবহুল বাইশারী ও গজালিয়া থানার কর্মকান্ড স্থগিত করেন। একই কারণে নতুন করে জেলা ঘোষিত ৪৭টি মহকুমার মধ্যে ৪২ টি মহকুমাকে পুর্ণাঙ্গ জেলা বহাল রেখে বাকি ৫টির জেলা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটির কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির রামগড় ও বান্দরবানের লামা মহকুমা সরকার ঘোষিত জেলা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।

সরকার ১৯৮২-৮৩ সালে কম জনসংখ্যার কারণে জেলা ও থানা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৫ সালের এই সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজ-সভ্যতার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সাবেক মহকুমা লামায় বর্তমানে তিন লক্ষাধিক জন বসতি রয়েছে। লামা উপজেলার একটি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়নের সাথে সদরের রয়েছে কার্পেটিং, এসবিবি ও কাচাঁ সড়ক নেট ওয়ার্ক। ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও একটি ডিগ্রী কলেজ রয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার, জেলা তথ্য অফিস, সড়ক ও জনপথ, উপ-পরিচালক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উপসহকারি প্রকৌশলী গনপূর্ত, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর অফিস ও জনবল রয়েছে।

এ ব্যপারে লামা নাগরিক ফোরাম ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, ১৯৮২ সালে সরকার লামা মহকুমাকে জেলা করার জন্য স্থানীয়দের থেকে অনেক জমি অধিগ্রহন করেছিলেন। ওই সব জমির বেশিরভাগ অংশে তামাক চাষের জন্য লাগিয়াত করে সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ভবন হওয়ার বুকভরা আশা নিয়ে স্থানীয়রা নামেমাত্র মুল্য বাবদ অধিগ্রহনের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অনুকুলে জমি হস্তান্তর করেছেন। দু:খের বিষয় সেসব জমিতে দায়িত্বশীলদের সহায়তায় তামাক চাষ হয়। লামাকে পূর্ব ঘোষিত জেলা পুর্নবহাল করা না হলে, অধিগ্রহনকৃত জমি সমুহে তামাক চাষ না করে পূর্বের মালিকদের অনুকুলে ছেড়ে দেয়ার দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।


শেয়ার করুন