সিটিএন ডেস্কঃ
শনিবার বিকালে তিনি ঢাকায় পৌঁছবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানসহ তার পরিবার এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেন তিনি।
বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম শনিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডাম লন্ডন সময় রাত সাড়ে ১০টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানে রওনা হয়েছেন।”
তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা হিথরো বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান, বলেন তিনি।
শামীম বলেন, দুবাইতে দেড় ঘণ্টা যাত্রাবিরতি শেষে বিকালে হজরত শাহ জালাল বিমানবন্দরে নামবেন তার দলীয় প্রধান।
বিএনপির অন্যতম নীতি-নির্ধারক সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তোড়জোড়ের মধ্যে ফিরছেন খালেদা।
যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদেরের সঙ্গে বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতিও চলছে।
খালেদা দেশে ফিরবেন না বলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার তার ফেরার খবর দেয় বিএনপি।
দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশের ক্রান্তিকাল ও রাজনীতির সঙ্কট বিবেচনা করেই আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
গত ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা। সেখানে তিনি চোখ ও বাতের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বলে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন।
লন্ডনে পারিবারিক পরিমণ্ডলে সময় কাটানোর পাশাপাশি বিএনপির আয়োজনে দুটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন খালেদা।
তার লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই বাংলাদেশে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন এবং তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই পুলিশকে; যেসব ঘটনার জন্য বিএনপি নেত্রীকেই দায়ী করে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরিই বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ‘বানচালের উদ্দেশ্যে’ বিদেশে বসে খালেদা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন।
অন্যদিকে বিএনপি বলে আসছে, সরকার নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যর্থ হয়ে’ এখন তাদের ওপর ‘দায় চাপাচ্ছে’।
নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার হুকুমের আসামি খালেদা দেশে ফিরতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকারকে।
গত ১৬ নভেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “দেশে আসাতে (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) কোনো বাধা দেব না, স্বাগত জানাব। কারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে আসাই বাঞ্ছনীয়।”
তবে ফেরার পর খালেদার নিরাপত্তা চেয়েছে বিএনপি।