লঘুচাপে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস

ডেস্ক নিউজ :

উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া। ফলে বায়ুচাপের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে জলোচ্ছ্বাসের। উপকূলের নিচু এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে। ইতোমধ্যে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতার ঢেউয়ে নিচু এলাকার স্থাপনা অথবা ফসলের মাঠে পানি উঠে গেছে বলে সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। বায়ু তাড়িত এ জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা হয়তো আরো বাড়বে প্রক্রিয়াটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হলে। আবহাওয়া অফিস গত শনিবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে রেখেছে।

বিকেলে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাপমাত্রাও বেশ কমে গেছে। কিছুটা হাওয়ার সাথে বজ্রবৃষ্টিও ছিল। সারাদিনের প্রচণ্ড গরমে বিকেলে মানুষ যখন চরম অস্বস্তিতে ছিল ঠিক তখনই হালকা বৃষ্টি চারদিকে ছড়িয়ে দেয় হিমেল পরশ।

মাহে রমজানের কারণে ক্ষুধা আর তৃষ্ণার্ত মানুষের হৃদয় যখন একটু শীতল পরিবেশ চাচ্ছিল তখনই আকাশ কালো করে শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। ঢাকার রাস্তায় বিকেলের এ বৃষ্টিতে সন্তোষ প্রকাশ করে মানুষকে মন্তব্য করতে শোনা গেছে, হাজার খানে এসি মেশিন বসালেও পরিবেশ এতো ঠাণ্ডা হতো না, আল্লাহ ২/৩ দিনের বৃষ্টিতে যেমরকম ঠাণ্ডা করে দিয়েছেন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে গত শনিবার সকালে সৃষ্ট লঘুচাপটি আজ রোববার পর্যন্ত কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ অবস্থায় উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে হয়তো ঝড়ো হাওয়ার বেড় আরো বাড়বে।

এছাড়া কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এদের কাছাকাছি দ্বীপসমুহ ও চরে এক থেকে দুই ফুট উচ্চতায় পানি উঠে আসতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে চলাচলরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুহকে পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।


শেয়ার করুন