সিটিএন ডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার ভোরে চরশাহী ইউনিয়নের তিনারবাড়ী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয় বলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান।
নিহত আবদুর রহিমের বাড়ি দিঘুলী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি ‘রহিমবাহিনী’ নামে একটি ডাকাতদলের প্রধান ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
ওসি বলেন, “২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে রহিমের যাবজ্জীবন সাজা হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুরে ‘ডাকাত’ বাবর হত্যাকাণ্ডেরও প্রধান আসামি সে। এছাড়া চুরি-ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, রাত ৩টার দিকে চরশাহীতে রহিম ও তার দলবলের ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে যায়।
“বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। ঘণ্টাখানেক চলে গোলাগুলি। ডাকাতদলের অন্যরা পালিয়ে গেলে রহিমকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।”
গুলিবিদ্ধ রহিমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমান, মো. মহসিন ও ইব্রাহিম নামে পুলিশের তিন কনস্টেবলও আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলেছে পুলিশ।