রোহিঙ্গা চাপে বেকায়দায় কক্সবাজারের স্থানীয়রা

 

সিটিএন ডেস্ক ;

বিশাল রোহিঙ্গা চাপ সামাল দিতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ ও বেকায়দায় পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার বাসিন্দারা। একদিকে স্থানীয়ভাবে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে তাদের প্রতি পদে পদে পড়তে হচ্ছে অর্থনৈতিক অসঙ্গতিসহ নানা জটিলতায়।

এ অবস্থায় টেকনাফ ও উখিয়ার স্থানীয়দের জীবন উন্নয়নে আলাদা অর্থ বরাদ্দের কথা বলছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

মিয়ানমার বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতনের মুখে প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের করুণ আর্তি। নিজ দেশে সহায়-সম্বল সব কিছু হারিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের এখন অবস্থান হয়েছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়ায়। গত আগষ্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামলেও তাদের অনুপ্রবেশের এ ধারা চলে আসছে ১৯৭৮ সাল থেকেই। রোহিঙ্গারা বেঁচে থাকার জন্য দেশি-বিদেশি ত্রাণ সহায়তা পেলেও চরমভাবে বঞ্চিত হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সব কিছুতেই এখন তারাই ভুক্তভোগী।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘বর্ডারে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তারা আমাদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না।’ আরেকজন বলেন, ‘আমরা অনেক অসহায় হয়ে আছি। আমাদের বাচ্চাকাচ্চা পালতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।’

১শ ৫০ বর্গমাইলের টেকনাফে স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার, আর ১০১ বর্গ মাইলের উখিয়ার লোকসংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার। আর এ দু’টি উপজেলায় বর্তমানে রয়েছে ৯ থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা ঢল বন্ধ না হওয়ায়, ভয়াবহ রকমের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, ‘আমাদের জেলে যারা আমাদের ট্রলারে কাজ করে, তাদেরকে অতিদ্রুত তারা এই সহায়তা প্রদান করবেন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, ‘১১৪১ জনের একটি তালিকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে পাঠানো হয়েছে, আশা করছি অতি দ্রুত তাদের জন্য সাহায্য পাওয়া যাবে।

জেলা ফিশিং বোটের তথ্য অনুযায়ী নাফ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন ৮ হাজার জেলে। তবে মাত্র ১১৪১ জনকে সরকারি সাহায্য দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।


শেয়ার করুন