রোহিঙ্গা গণহত্যা: সু চি’র নোবেল বাতিলের আবেদনে ৪ লাখ মানুষের সাক্ষর

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সিটিএন :
নাইপেদো: মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির কার্যত প্রধান অং সান সু চি’র নোবেল শান্তি পুরষ্কার ফিরিয়ে নেয়ার আবেদন করেছে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ।

মায়ানমারে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রচারাভিযানের জন্য ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির নেত্রী সু চিকে ১৯৯১ সালে এই সম্মানসূচক পদক প্রদান করা হয়েছিল।

সু চি’র এই পদক প্রত্যাহারের জন্য নোবেল কমিটির কাছে এক আবেদনে ৪,০৫,০০০ এরও বেশি লোক সাক্ষর করেছে। চেঞ্জ ডট ওআরজি নামে একটি সংগঠন এর উদ্যোক্তা।

মায়নমারের রোহিঙ্গাদের জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বৌদ্ধ চরমপন্থীরা। এই গণত্যার জন্য সু চিকে ব্যাপকভাবে দায়ী করছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

নোবেল পদক পত্যাহারের এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘মায়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি তার দেশে মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধ বন্ধ করার জন্য কার্যত কিছুই করছেন না।’

তবে, নরওয়ের নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে যে তারা এই পুরস্কারটি প্রত্যাহার করবে না।

মায়ানমার বাহিনীর অবরোধের মুখে গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা অন্তত ২৫টি পুলিশ স্টেশনে হামলা ও একটি সেনাক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এতে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

এরপর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গ যোগ দেয় দেশটির বৌদ্ধ চরমপন্থীরাও। অভিযানে হেলিকপ্টার গানশিপেরও ব্যাপক ব্যবহার করে মায়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে পুঁতে রাখায় হয় স্থলমাইন।

মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, কুপিয়ে হত্যা, নারীদের গণর্ষণের অভিযোগ উঠে। তারা রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ঘরবাড়ি এবং একের পর এক রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। তাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি বয়োবৃদ্ধ নারী এবং শিশুরাও। গত দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সহিংসতায় প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে।

জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ভিভিয়ান জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে কমপক্ষে এক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডন্ট


শেয়ার করুন