টেকনাফে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার এক মাস : উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত অস্ত্র

ansar-camp-logo-coxbangla

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও আনসার কমান্ডার হত্যার ঘটনার এক মাসেও অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ।
এই এক মাসে আটক ৪ জনের মধ্যে নুরুল আবসার নামের একজনকে আদালতে সোপর্দ করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি গ্রহণকে অগ্রগতি বলে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
তবে তার জবানবন্ধিতে উঠে আসা পাকিস্তানী ‘ফারুক’ সম্পর্কেও তেমন কোন তথ্য নেই পুলিশের কাছে। এমন কি ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত এবং আটকের ক্ষেত্রেও রয়েছে কেবল শূণ্য। উদ্ধার হয়নি লুন্ঠিত অস্ত্র ও গুলি।
তবে পুলিশের দাবি, নুরুল আবসারের জবানবন্ধিতে লুন্ঠিত অস্ত্র, গুলি সহ হামলায় জড়িতরা মিয়ানমারে পালিয়েছে বলে উঠে এসেছে। ফলে এদের ধরা বা অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব নই।
ওই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, ঘটনার পর দায়ের করা মামলায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে বিভিন্ন সময়। যার মধ্যে নুরুল আবছার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধিতে বিস্তারিত স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই এবং তদন্ত চলছে।
সূত্র মতে, গত ৩১ মে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের (আদালত নং ৬) বিচারক সিরাজ উদ্দিন এর আদালতে হাজির করা হয়েছিল এ ঘটনা গ্রেফতার হওয়া নুরুল আবসারকে।
আদালত থেকে পাওয়া তার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধিতে জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানী নাগরিক ওমর ফারুক। রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠণ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এ ঘটনার পরিকল্পনা করেছে। যেখানে মিয়ানমার থেকে আরএসও’র কয়েক সদস্য, চট্টগ্রাম থেকে আসা কয়েকজন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন মিলে এ ঘটনা সংগঠিত করে। ঘটনার পর লুট করা অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিয়ানমারে। ঘটনার পর জড়িতরা বেশিভাগ মিয়ানমারে চলে যান। তিনি না গেলেও ঘটনার পরে একবার মিয়ানমার গিয়েছিল।
পাকিস্তানী ফারুক হিসেবে পরিচিত ওমর ফারুকের সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, ‘ আদালতে নুরুল আবছারের দেয়া স্বীকারোক্তিতে এটা এসেছে। তার সম্পর্কে আর বিস্তারিত জানা যায়নি।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা ঘটনার এক মাসে এসেছেও ঘটনায় জড়িত অপরাপরদের শনাক্ত, নাম পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি বলে স্বীকারও করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আনসারের ক্যাম্প কমান্ডারকে হত্যা করে ১১টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আনসার কমান্ডার আলমগীর হোসেন বাদি হয়েছে অজ্ঞাত আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করে ছিল।


শেয়ার করুন