রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণ ইইউ’র ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পাবে 

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগণের জন্য ৬.২ মিলিয়ন ইউরো সাহায্যের পুনরায় অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ-এর সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশন ডিপার্টমেন্ট ডিজি ও ইকোর মাধ্যমে এই সহায়তা আসবে।

সোমবার জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য অব্যাহত সুরক্ষা এবং সহায়তায় উদার অবদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য ডিজি ইকো ইউএসিএইচআর-এর অন্যতম প্রধান দাতা।

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘ইসিএইচও-এর অবদান আমাদেরকে সমন্বিত এবং জবাবদিহিমূলকভাবে মানসম্পন্ন সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক প্রতিক্রিয়া যখন ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করছে তখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং ভাসানচরে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের টেকসই সমর্থন অমূল্য রয়ে গেছে’।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক কর্মসূচির তত্ত্বাবধানকারী আনা অরল্যান্ডিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্রমাগত ভয়ানক পরিস্থিতিতে বসবাস করছে এবং আমাদের অটল সমর্থনের প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন এটি সুরক্ষার ক্ষেত্রে আসে।’

শরণার্থীদের জন্য এই অবদান নিশ্চিত করবে ইউএনএইচসিআর, বিশেষ করে সবচেয়ে ভয়ানক এবং ঝুঁকিপূর্ণ যারা তাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং সুস্থতা উন্নত করতে পর্যাপ্ত এবং অর্থপূর্ণ সুরক্ষা সেবা সরবরাহ করা হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর-এর অন্যতম অপরিহার্য অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম দাতা ইকো-এর এই অবদান শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির ওপর নজরদারিতে সহযোগিতা করবে। যেখানে শরণার্থীদের আইনি সহায়তার সুযোগ নিশ্চিত করবে এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ নিশ্চিত করবে। শিশুদের জন্য সুরক্ষা এবং সহায়তা পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা করবে।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নৃশংসতার কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ার পাঁচ বছর পর বর্তমানে নয় লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজারে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া আরো ৩০ হাজার শরণার্থী ভাসানচরে বসবাস করছে।


শেয়ার করুন