রোহিঙ্গা ও অপ্রাপ্ত বয়স্করা ভোটার তালিকাভুক্ত হচ্ছে!

download (2)এম.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন :

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ দেশদ্রোহীর মত কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ফরমে জনপ্রতিনিধির প্রতি স্বাক্ষর কিংবা সনাক্ত করারও প্রয়োজন মনে না করে তারা স্থানীয় আ.লীগ পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ভোটার তালিকায় হালনাগাদের তথ্য ফরম পূরণ করে যাচ্ছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নে তথ্য সংগ্রহকারী দু’জন সরকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট আহমদ হোছাইন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেছে তাজমহল সিকদার নামের এক জনপ্রতিনিধি।

অভিযোগে জানা যায়, কক্সবাজার সদরে ভোটার তালিকা হালনাগাদের অংশ হিসাবে পিএমখালী ইউনিয়নেও হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু এ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছলিম উদ্দিন ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌলানা নজরুল তথ্য সংগ্রহকালীন সময় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিসহ দেশদ্রোহীর মত কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

পিএমখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাজ উদ্দিন সিকদার তাজমহল জানান, আমার ওয়ার্ডে তথ্য সংগ্রহকারীরা তথ্য ফরমে আমার প্রতি স্বাক্ষর কিংবা সনাক্ত করারও প্রয়োজন মনে করেনি। কোন ফরমে আমার প্রতি স্বাক্ষর না নিয়ে স্থানীয় আ’লীগ পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও জামায়াত শিবির, বিএনপি ঘরনার লোকজনকে চিহ্নিত করে ভোটার তালিকায় হালনাগাদের তথ্য ফরম পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, এধরনের কাজে তারা নিয়েছে বিভিন্ন অংকের টাকা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে এসব বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলে, তারা উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় আমাকে । ওই শিক্ষকদ্বয় কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের অপকর্ম ঢাকা দিতে সহকারী শিক্ষক সমিতির কক্সবাজার জেলা শাখার শিক্ষকদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে একজন রাজনৈতিক নেতা ও বার বার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মানসম্মান ক্ষুন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়টি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট আহমদ হোছাইন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, এধরনের মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একে আহমদ হোছাইন বলেন, কৌশলে আ.লীগ ঘরনার প্রকৃত ভোটাররা বাদ গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বলেছি।

কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে যাতে রোহিঙ্গা ও অপ্রাপ্ত বয়স্করা তালিকাভুক্ত হতে না পারে সে দিকে কঠোর নজরদারী রাখা হয়েছে। কোন তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষক তথ্য সংগ্রকারী ছলিম উদ্দিন ও সহকারী শিক্ষক মৌলানা নজরুল এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন