রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ২ হাজার হেক্টর জায়গায় বনায়ন করবে আর্ন্তজাতিক সংস্থা ফাও

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে জাতিগত হত্যাযজ্ঞের নিষ্ঠুর শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে অবক্ষয় ও ধ্বংস হওয়া বনাঞ্চল সবুজয়ান করার উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ২ হাজার হেক্টর বনভূমিতে ফুট এন্ড এগ্রিকালচার অর্গাইজেশন (এফএও) এ বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, রোহিঙ্গারা বনভূমি আশ্রয় নেওয়ায় বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। শুধু তাই নয় পাহাড় কেঁটে ও গাছ পালা নিধন করে হাজার হাজার রোহিঙ্গারা বনবিভাগের জায়গার উপর শেড তৈরি করে বসবাস করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট সহ বিপন্ন হয়ে পড়েছে জৈব-বৈচিত্র।
এদিকে আর্ন্তজাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ফুট এন্ড এগ্রিকালচার অর্গাইজেশন (এফএও) এর অর্থায়নে উখিয়া-টেকনাফে ধ্বংস হওয়া বনভূমিতে নতুন করে বনায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ফুট এন্ড এগ্রিকালচার অর্গাইজেশন (এফএও) বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর সহ দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা উখিয়ার কুতুপালং ধ্বংস হওয়া বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে উখিয়া রেঞ্জ কার্যালয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফুট এন্ড এগ্রিকালচার অর্গাইজেশন (এফএও) এর বাংলাদেশস্থ ডিরেক্টর মাউথুচ-সু, কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ বিট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ফুট এন্ড এগ্রিকালচার অর্গাইজেশন (এফএও) এর প্রতিনিধিগণ উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বনাঞ্চলে ২ হাজার হেক্টর জমিতে বনায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম জানান, অবক্ষয় হওয়া বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও স্থানীয়দের জ্বালানি এবং কাঠের চাহিদা মেটাতে আর্ন্তজাতিক সংস্থা এফএও বনায়নের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
এদিকে গতকাল বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালীসহ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। এসময় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আলী কবির সহ বনবিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন