রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকার নির্বিকার : রিজভী

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেদেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন চলছে।
বাংলাদেেশ সরকার কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। উপরন্তু রোহিঙ্গাদেরকে বাধা দেয়া হচ্ছে! অথচ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রামের পর গ্রামে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে বার্মা। রোহিঙ্গারা যখন পালিয়ে আসছে তখন বাংলাদেশের বিজিব বাধা দিচ্ছে।
রিজভী বলেন, রোহিঙ্গাদের অপরাধ তারা মুসলমান। তাদের মানবতা থাকতে পারেনা? যে কারণেই তাদের ওপর নিপীড়ন চলছে। কিন্তু এই অবস্থা চলতে পারেনা। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তার ব্যাপারে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জিয়াউর রহমানের সময় হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও চিকতসা দেয়া হয়েছিল। আসলে বর্তমান হাসিনা সরকার তা চায়না।
তিনি বিশ্বকে বলতে চান যে তিনি একজন মুসলিম বিরোধী। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকার নিশ্চুপ, নির্বিকার। তারা একটি সহনশীল জাতি রোহিঙ্গাদের মৃত্যু আর আর্তনাদ দেখছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়।
“বিচারবিভাগকে অাক্রমণ করে, আওয়ামী দু:শাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন” শীর্ষক মানববন্ধনের আয়োজন করে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
সংগঠনের সভাপতি ফরিদা মনি শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা ইয়াসমিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, এম এ হান্নান, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সর্দার মো: নূরুজ্জামান প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী দেশের বর্তমান পরিস্থতিকে অন্ধকার অাখ্যা দিয়ে বলেন, এই অন্ধকার থেকে মুক্তি হবে কবে? স্বৈরাচার সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকলে দেশে দুর্যোগ ঘটতে থাকবে। অাসলে আওয়ামী লীগ নিজেই একটি দুর্যোগ। যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতই। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ বিরোধীদলকে দমন করতে আইনশৃঙখলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
গত ৬ দিনে দুই ব্যবসায়ী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা গুম হয়েছেন। এরমধ্যে একজন বিএনপি নেতা। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য! তিনি আরো বলেন, বিমানবন্দর থেকে জিয়াউর রহমানের নাম পরিবর্তন করে, পিলখানা হত্যাকান্ডের পর, শেয়ার লুটের পর, জনপ্রতিনিধি হত্যার পর সরকারের সাথে জনগণ নেই। আজকে তাদের বিচারের ব্যবস্থা চলছে।
রিজভী বলেন, নিম্ন আদালত শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু উচ্চ আদালত মানুষের আস্থার জায়গা। আমরা সেটাকে বিতর্কিত করিনি। তারেক রহমানের মামলার রায় খালাস দেয়ায় বিচারককে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। আবারো সেই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কই আমরাতো বিচারকের বিচার দাবি করিনি। আসলে আওয়ামী লীগ স্বার্থের বাইরে কিছুই মানতে চায়না। মনে হচ্ছে প্রধানবিচারপতির সাথে মল্লযুদ্ধ চলছে। একদিকে নেগোশিয়েশন অন্যদিকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে। আগে পাঠানো হলো ওবায়দুল কাদেরকে, তারপর গওহর রিজভীকে।

–নয়াদিগন্ত


শেয়ার করুন