রোহিঙ্গাদের নজরে রাখতে বসছে পাঁচ পুলিশ ক্যাম্প

সিটিএন ডেস্ক:

রোহিঙ্গা যুবকের হামলায় এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পর কক্সবাজারের কুতুপালং আশ্রয় শিবিরে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পুলিশকে ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে (কুতুপালংয়ে) আমরা এদের (রোহিঙ্গা) আরও তীক্ষ্ম নজরে রাখার জন্য পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছি। তাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) তৎপরতা আরও বাড়াতে অনুরোধ করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদেরকে এক জায়গা আনা হচ্ছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। তারা কুতুপালংয়ে সবাইকে নিয়ে আসছে। কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করছে। এসব ব্লকে নজরদারিতে রাখতে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প করা হচ্ছে। ২৬টি চেক পোস্ট গঠন করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ রেহাই পাবে না। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।’

কক্সবাজারে পাহাড় কেটে বন উজার করে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। এই ক্ষতি সরকার বিভাবে কাটিয়ে উঠবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড় কাটলে আবার পাহাড় হবে। কিন্তু মানুষ মরলে তো আর মানুষ পাওয়া যাবে না। এ কারণে আমরা আগে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আগে দেখছি। তারা আমাদের নাগরিক না হলেও এখন তো তারা চলে আসছে। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। সেটা আমরা করছি। তবে আর যেন পাহাড় না কাটে সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সবকিছুই মিয়ানমার সংস্কৃতি অনুযায়ী করা হচ্ছে। তাদের ভাষা তাদের কৃষ্টি-কালচার অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে। কারণ তারা মিয়ানমারের নাগরিক। মিয়ানমারে তাদের যেতে হবে। মিয়ানমার এই ইস্যু নিয়ে বেশ চাপে আছে। তাদের ওপর চাপ আরও বাড়াতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন করে এ পর্যন্ত ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আর আগের সংখ্যা নিয়ে এখন মোট ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে। এদের সামাল দেয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ পর্যন্ত তিন লাখ পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা নিবন্ধন করা হয়েছে। বাকিদের ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ১৯৭৮ সালের পর কত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে তার সঠিক হিসেবে নিবন্ধন শেষ হলে জানা যাবে।’


শেয়ার করুন