হুমকির মুখে শিশু-কিশোর

রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণে বাড়ছে অপরাধ

crime- ctnস্টাফ রিপোর্টার :

কক্সবাজার জেলার ৩০টি স্পটের সিংহভাগ অপরাধ কার্যক্রম সংগঠিত হচেছ মায়ানমারের কতিপয় রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বে। সুত্র জানায়,কক্সবাজারের পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের মোবাইল ছিনতাই, দিন-দুপুরে পর্যটকদের ছুঁির ধরে র্সবস্ব হাতিয়ে নেওয়া, পুলিশের উপর হামলা করা, ডাকাতি,ভাড়াটিয়া হিসেবে খুন করা, ত্রাঁস সৃষ্টি, পকেট মারা, গাড়ি চুরি, গরু চুরি, মাদক, চোরাচালান ইত্যাদি বিষয়াদিতে মায়ানমার থেকে আসা ছদ্মবেশী বাংলাদেশের নাগরিক নামধারী রোহিঙ্গারা এসব কাজে জড়িয়ে যাচেছ দে-দারছে। বিশেষ করে শহরের সমিতি পাড়া, বইল্ল্যা পাড়া, চরপাড়া, পাহাড়তলী, ঘোনাপাড়া, বিডিআর ক্যাম্প এলাকা, বাস টার্মিনাল, লারপাড়া, কলাতলী, নুনিয়ারছড়া, দরিয়ানগওে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ১৫ হাজারের অধিক মায়ানমারের রোহিঙ্গারা। এদের কলক¦জায় চলছে সিংহভাগ অপকর্ম আর অপরাধ প্রবণতা। আবার এদের নিয়ন্ত্রণে আছে নিজস্ব তৈরীকৃত শক্তিশালী অস্ত্রধারী সিন্ডিকেট।এর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকবল সংগ্রহের দুটি প্রধান স্থান হচেছ উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প এবং টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প। তবে এখানকার বেশিরভাগ হচেছ অনিবন্দ্বিত রোহিঙ্গা। তারা পেশা হিসেবে রিক্সা চালক বা টমটম চালক হয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে থাকে। তাদের লক্ষ্য সুযোগ বুঝে পর্যটকদের মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করা অথবা মাদক, ইয়াবার যোগান দেওয়া। সুযোগ পেলে কিছু রোহিঙ্গা মহিলা মোটা অঙ্কের টাকা পাওয়ার লোভে চোরাচালানীতে ব্যবহ্রত হয়। সম্প্রতি এমন একটি বিরল ঘটনার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।

গত ১৬ আগষ্ট চট্টগ্রামের আলকরণ থেকে সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি ককসবাজারে ঘুরতে আসেন। বিকাল বেলায় হোটেল থেকে বের হয়ে রিক্সা করে সৈকতে ঘুরতে যাবার সময় চালক র্বামাইয়া সালামের ফান্দে পড়ে হারিয়ে ফেলেন ৫০ হাজার টাকা দামের আইফোন। হতাশার গ্লানি নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে যায় ওই দম্পতি। কিন্তু রিক্সা চালক বার্মাইয়্যা সালাম মোবাইল সেটটির কদর না বুঝে চলে যায় তার বাড়ির কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের্^র এক মোবাইল মিকার বর্মাইয়্যা সাইফুলের কাছে। সে অনেক চেষ্টা করেছে আইফোন সেটটি ব্যবহার করার জন্য কিন্তু এসব সেট সহজে খোলা যায় না। সর্বশেষ রিক্সা চালক সেলিম অভাবের কথাবলে মোবাইলটি তার এক ভাঁয়রার মেয়ের কাছে বিক্রি করে দেয় ২ হাজার টাকা দিয়ে। ওই মেয়েটির শাশুর বাড়ি আবার টেকনাফের পল্লান পাড়ার বর্মাইয়্যা এলাকায়। তার এক ভাই সেটটি দেখে ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আবার সে অন্য জনের কাছে ৭ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করলে সেটটির হাত বদলে পৌঁছে যায় পঞ্চম পক্ষের হাতে। এখনো এই মোবাইটি চোরের কবল থেকে উদ্বার করা সম্ভব হয়নি।

এ রকম পাহাড়তলীর কচছপিয়া পুকুরের অধিবাসী মুহাম্মদ শহীদউল্লাহর লোমিয়া মোবাইলটিও বর্মমাইয়া কতিপয় টোকায়রা বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এমনকি অন্যান্য স্থানে এসব বার্মাইয়্যারা রাতে সড়ক অবরোধ করে ডাকাতি করেন বলেও জানাযায়। আন্যদিকে উখিয়ার কুতুপালং আর টেকনাফের শামলাপুরের ঢালাতে এসব বার্মাইয়্যাদের নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলে বিদেশী এনজিও কর্মী থেকে শুরু করে সকল প্রকার গাড়ি আটকিয়ে প্রকাশ্যে ডাকাতি করে থাকে। জানাগেছে, এসব ডাকাত সর্দাররদের অনেকে গাঁ ঢাকা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসে সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রন করে যাচেছ। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত ঘনবসতি হওয়ায় লোক চক্ষুর অন্তরালে একাধিক মামলার আসামীরা বিভিন্ন ছদ্মনামে ঘুরে ঘুরে আবারও অপরাধকর্ম সম্পাদনে তৎপরতা শুরু করছে।

এ ছাড়া কুতুপালং আর নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাস্পকে ঘিরে অনেক জনপ্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি গেল বছর পালংখালিতে চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিনের নেতৃত্বে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের উপর হামলা করতেও চিন্তা করেনি তারা। আর এসব বার্মাইয়্যাদের ছোট বড় সকল প্রকার অপকর্ম করতে একটুখানি বিবেক উদয় হচেছনা। এদের অপকর্মে যেমন দেশে বৎনাম হচেছ তেমনি যত্রেতত্রে ৮/৯ বছরের শিশুরা পর্যন্ত রাত দিন প্রকাশ্যে রাস্ত ঘাটে লোকজনের কাছে হাত পাতিয়ে বাংলাদেশের অনাথ শিশুদেরকেও চাঁদা তুলার প্রতি উৎসাহিত করছে।এতে বেশিরভাগ ছেলে সন্তান পড়ালেখা না করে রাস্তায় রাস্তায় পথচারীদের নিকট হাত পাতানোর দিকে ঝুঁকে যাচেছ। এক অনুসন্বানে দেখাযায়, এক যুগ আগে বাংলাদেশের মতো কক্সবাজারের এই পর্যটন নগরীতে যেখানে সেখানে বয়োবৃদ্ব মহিলা আর শিশুকিশোরদের চলন্ত গাড়ি থামিয়ে টাকা চাইতে দেখা যায়নি। কিন্তু ্এখন জেলার সবখানে ফকিরের সংখ্যা বেড়েগেছে ।

তবে এদের শতভাগ মায়ানমার থেকে এসে গাড়ি-বাড়ি, রাস্তা-ঘাটে, দোকানে অফিসে গিয়ে সবার কাছে টাকা চেয়ে যাচেছ। এতে পর্যটন শিল্পের অপূরণীয় সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচেছ। তাই এই বিষয়ে সরকার সু প্রদক্ষেপ না নিলে কক্সবাজারের মূল ভূখন্ড মায়নমারের সন্ত্রাসী উগ্রবাদীদের হাতে চলে যেতে পাওে মনে করছেন জেলার সচেতন মহল। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি জহিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার চেয়ে জেলা পুলিশের উর্ধবতনদের কাছে বেশি তথ্য থাকবে।


শেয়ার করুন