রোগ প্রতিরোধে ইসলামের তাগিদ

Stethoscope on a printed sheet of paper

সিটিএন ডেস্ক:

আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এবার দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন: ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ মানুষের জীবনে স্বাস্থ্যগত দিকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছে। সবল ও সুস্থতাই ইসলামে কাম্য। হাদিসে আছে, ‘যে ইমানদারের শারীরিক শক্তি আছে, তিনি দুর্বল ও শারীরিক শক্তি কম এমন মুমিনের চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রিয়।’ কারণ ইবাদত করার জন্য শারীরিক শক্তি প্রয়োজন। শক্তিহীন মানুষ কোনো কাজে লাগে না। শারীরিক শক্তি আল্লাহ তায়ালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেয়ামত।

হাদিসে পাঁচটি অমূল্য সম্পদ হারানোর পূর্বে এগুলোর মূল্যায়ন করার কথা বলা হয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা। ইসলাম স্বাস্থ্য সুরক্ষার জোরালো তাগিদ দিয়েছে। কোরান-সুন্নাহ এবং ইসলামি শরিয়ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ফলপ্রসূ উপায় বলে দিয়েছে। যেমন নেশাজাতীয় দ্রব্য হারাম করা, পরিমিত ও সময়ানুগ খাবার গ্রহণ ইত্যাদি। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সচেষ্ট হওয়া ইমান ও বিশ্বাসের দাবি। স্বাস্থ্য রক্ষার পর পরই ইসলাম রোগ প্রতিরোধের প্রতি জোর তাগিদ দিয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্লোগান হচ্ছে Prevension is better than cure (চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম)। এ জন্য যে জিনিসগুলোর কারণে মানুষের রোগ হয় ইসলাম আগেই সেগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরও যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে তার করণীয়ও ইসলাম নির্দেশ করেছে। একজন মুসলিম নিজে বা তার পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে প্রথমে সে আল্লাহর রহমত প্রত্যাশা করবে।

আল্লাহ রোগ দিয়েছেন তিনিই সুস্থতা দান করবেন এ বিশ্বাস সুদৃঢ় করতে হবে। তবে আল্লাহর ওপর ভরসার পাশাপাশি ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করাও ইসলামের শিক্ষা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের পরই আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল (নির্ভর) করতে হবে। অসুস্থ হলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে যন্ত্রণা সহ্য করার নাম তাওয়াক্কুল নয়। রাসুল (সা.) নিজেও একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার ছিলেন। তিনি মুমিনদের শারীরিক ও আধ্যাত্মিক চিকিৎসার যাবতীয় প্রেসক্রিপশন দিয়ে গেছেন। সেগুলো অনুসরণ করলে মানবজীবনে শান্তি ও কল্যাণ আসতে পারে।


শেয়ার করুন