রিক্সা শফিকের কোটি পতির হওয়ার রহস্য

shafiq teknaf picনিজস্ব প্রতিবেদক :

মাত্র ৪ বৎসর আগে দুইটি রিক্সার মালিক বর্তমানে কোটি টাকার স¤পদের মালিক। রাজারহালে চলাফেরা বাড়ি গাড়ি,আগধ সম্পদের মালিক তিনি। এলাকার সাধরণ মানুষও জানে ইয়াবার কেরামতিতে এসব হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে কোন ধরণের নজরদারী না থাকায় সচেতন মহলের কাছে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। টেকনাফ ডেইলপাড়া এলাকর আব্দুল গফুরের পুত্র শফিক আহম্মদ প্রকাশ রিক্সা শফিকই এখন কোটিপতি।

খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদার বিল পৌরসভার ইসলামাবাদ, পশ্চিম ডেইল পাড়াসহ এক চকে ৪০ কানি জমি,ও টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে রয়েছে ৭টি ট্রাক , দুইটি মিনিবাস চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় বিলাস বহুল নিজস্ব বাড়ী, টেকনাফের দক্ষিন ডেইল পাড়া এলাকায় ৪টি বিলাস-বহুল বাড়ী জমিদারের আদলে চলাচলের শানই যেন আলীশান। এত কিছুর পেছনে কারণ একটা জমি-জামা, ঘর বাড়ী ও অভাব কয়েকশত মাইল দূরে চলে গেছে শুধু ইয়াবা ব্যবসার অবৈধ টাকার বিনিময়ে। এমনই একজন হচ্ছে শফিক আহম্মদ প্রকাশ রিক্সা শফিক, ।
ইয়াবা ব্যবসার অবৈধ পথে জড়িয়ে পড়ে রাতারাতি কোটিপতি। এই শফিক নানা কৌশলে ইয়াবা ব্যবসা করে তার মধ্যে চট্টগ্রামের গহীরা থেকে সাগর পথে ইয়াবা ব্যবসার গড়ে তোলে বড় নেটওর্য়াক। টেকনাফ ককসবাজার থেকে প্রসারিত হয়ে তার নেটওর্য়াক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পযর্ন্ত গড়ায়। ইতিপূর্বে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে তার মালিকানাধিন নোহাসহ তার ইয়াবা বহনকারিরা পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলা কারাগারে রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনার সুবিধার্তে তার বাবাসহ অনেক আতœীয়স্বজন একই পেশায় জড়িত বলে সূত্রে জানাগেছে।

এমনকি রিক্সা শফিক কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের হাতে আটকু হয়েছিল। কিছু আসাধু পুলিশ সদস্যের সাথে তার কিছুটা সখ্যতা রয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে বার বার ছাড় পেয়েছে এমন খবর রয়েছে।

বর্তমানে চট্রগ্রাম আগ্রাবাদ এলাকায় রয়েছে। পুলিশ তার বাড়িতে একাধিক অভিযান করেছে তবে গত কয়েক মাসের মধ্যেও তাকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। সেই অভিযানের পর থেকে টেকনাফ থেকে অতœগোপনে রয়েছে। রিক্সা শফিক প্রায় সময় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় থাকে। টেকনাফ আসলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়াতে খুবই সতর্কভাবে চলাফেরা করে। টেকনাফের পরিচিত জনদের সাথে তাবলীগ জামাতে গিয়ে অপরাধ ঢাকার চেষ্ঠা করে। ওই এলাকায় এমনই হঠাৎ করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ, হঠাৎ চৌধূরী ও রাতারাতি জিরো থেকে হিরু বনেছে অনেক শফিক রয়েছে। তাদের ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারী ও অবৈধ স¤পদের হিসাব দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন টেকনাফের সচেতন মহল।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খন্দকার জানান, টেকনাফ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আটক করতে পুলিশ সব সময় অভিযান পরিচালনায় করে যাচ্ছে। কিন্তু শফিক আহম্মদের বাড়িতে কয়েকবার অভিযান চালানো য়েছিল থাকে পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন