রামু সেনানিবাসকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও শক্তিশালী করা হচ্ছে

ramo-sana-nebas-400x225ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সমুদ্রসীমা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী করা হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসকে। এখানকার দশম পদাতিক ডিভিশনে নতুন করে যোগ করা হয়েছে ৭টি ইউনিট।

একদিকে বিশাল সমুদ্রসীমা, অন্যদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত। পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত হলেও কক্সবাজারের নিরাপত্তা জনিত গুরুত্ব তাই ভিন্নধর্মী।

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুতে দশম পদাতিক ডিভিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে ধীরে ধীরে সে গুরুত্ব আরো বেড়েছে। এখানকার পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত সেনানিবাসটি গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মাথায় রেখেই।

সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি এবং সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল- ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রামুতে এ ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। সম্প্রতি সেখানে যোগ করা হয় এরিয়া সদর দফতরসহ নতুন সাতটি ইউনিট। সেনাবাহিনীর চৌকস দলের কুচকাওয়াজ এবং পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এসব ইউনিটের।

পতাকা উত্তোলন দিন সেনাসদ্যদের উর্দ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সেনাপ্রধান সকলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার মাধ্যমে সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। সেই সাথে পেশাদারিত্বেও কাঙ্খিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কিংবা বার্হিক যেকেনো হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে আজকের মতোই এক সকালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের বর্ণিল পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন এখানে পাহাড়, জঙ্গল আর বনভূমি ছিল। মাত্র দুই বছর পর এই নবগঠিত গ্যারিসন নয়নাভিরাম সবুজ শামল রূপে পরিণত হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার দৃপ্ত প্রত্যয়ে সেনাবাহিনী সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান সেনা প্রধান।


শেয়ার করুন