রামু ছুরিকাঘাতে বন বিভাগের কর্মচারিসহ আহত ২

05সোয়েব সাঈদ, রামু

রামু উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বন বিভাগের কর্মচারিসহ দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার (১ মে) বেলা দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বন বিভাগের কাউয়ারখোপ বাঘখালী বিটের কর্মচারি (নৌকা চালক) মোহাম্মদ হালিম (২৯), ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী বুথপাড়া এলাকার মৃত মনির আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৮)। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ হালিমকে চমেক এবয়ং মনোয়ারা বেগমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনারপরই রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফখরুল আলম খান জানিয়েছেন, রামুর মনোয়ারা বেগমের জামাতা সাগরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাগর মনোয়ারা বেগমকে ছুরি দিয়ে আহত করলে তাকে বাঁচাতে যান বন বিভাগের কর্মচারি মোহাম্মদ হালিম। এসময় সাগর মোহাম্মদ হালিমকেও পেঠে এবং দেহের কয়েকটি অংশে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
ঘটনাস্থলের পাশে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ডরমেটরীতে বসবাসকারি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শাখাওয়াত হোসেন জানান, বাইরে আর্তচিৎকার শুনে তিনি বাইরে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় বন কর্মচারি মোহাম্মদ হালিম ও মনোয়ারা বেগমকে দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আহত দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফখরুল আলম খান জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের ফলে আহত হালিমের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিলো।
ছুরিকাঘাতে আহত মনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন, বন কর্মচারি মোহাম্মদ হালিম তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। এনিয়ে জামাতা সাগরের সাথে হালিমের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় দুজনকে বাঁচাতে গিয়ে হালিমের সাথে নিজেও ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ঘটনা চলাকালে প্রত্যক্ষদর্শী এবং আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।


শেয়ার করুন