সোয়েব সাঈদ, রামু :
রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেছেন, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় সহ যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকারে পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। রামুতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেন এ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠিকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিনটায় রামু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেন এ ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠির জন্য জরুরী সহায়তা প্রকল্পের ‘শর্তবিহীন অর্থ বিতরণ কর্মসূচি’র আওতায় ১৬০ জন নারী-পুরুষকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ক্রিশ্চিয়ান এইড এর সহযোগিতায় ও ইকোর অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা।
আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা ও সংগঠক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অগ্রযাত্রা’র চেয়ারম্যান নীলিমা আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, ক্রিশ্চিয়ান এইড এর কো অর্ডিনেটর সত্যজিৎ রায়, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, ফতেখাঁরকুল ইউপি সদস্য আবুল বশর ও সোনিয়া বড়–য়া, মানবাধিকার কর্মী সুরেশ বড়–য়া বাঙ্গালী, রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমূখ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অগ্রযাত্রা’র নির্বাহী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, অগ্রযাত্রা’র কমিউনিটি মোবিলাইজার রতন শর্মা। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, জসিমুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে অগ্রযাত্রা’র চেয়ারম্যান নীলিমা আকতার চৌধুরী বলেন, রামুতে সৃষ্ট বন্যা, ঘূর্ণিঝড় চলাকালে কক্সবাজার-রামুর সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ওই সময় সাংসদ কমলের সহায়তা ও পরামর্শে অগ্রযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠিকে জন্য সহায়তা দেয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে এ সহায়তা প্রদান সম্ভব হচ্ছে।
জানা গেছে, এ কর্মসূচির আওতায় রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল, কাউয়ারখোপ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নেরর ১ হাজার ৫০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত নারী-পুরুষকে জনপ্রতি মাসিক ৩ হাজার টাকা করে ৩ মাস পর্যন্ত শর্তবিহীন নদগ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
জানা গেছে, জনপ্রতিনিধি ও নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে এ প্রকল্পের উপকারভোগী চিহ্নিত করা হয়েছে। উপকারভোগীদের মধ্যে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেন এ ক্ষতিগ্রস্ত, ভূমিহীন, অসুস্থ, প্রতিবন্ধি, নারী প্রধান পরিবার, সংখ্যালঘু পরিবার, দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী নারী, ৬০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি প্রধান পরিবার, হতদরিদ্র এবং ভৌগলিকভাবে বিপদাপন্ন এলাকায় বসবাসকারি লোকজনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
রামুতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনে ক্ষতিগ্রস্থদের অর্থ বিতরণ
শেয়ার করুন