রাতে মোবাইল চালানোর কুফল

sleep_phone_bed_3441835k-400x249স্বাস্থ্য ডেস্ক

রাতে পড়াশোনার ফাঁকে অনেক তরুণ শিক্ষার্থীই মোবাইলে বিভিন্ন ফিচার নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কখনো বার্তা আদান-প্রদান করতে থাকে। অভিভাবকেরা সাবধান! তরুণদের মধ্যে মোবাইলে এই ব্যস্ততার পরীক্ষার ফল খারাপ তো হতেই পারে; সেই সঙ্গে স্কুলে গিয়ে ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে ঝিমোতে পারে আপনার আদরের সন্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা নিউজার্সির তিনটি হাইস্কুলের এক হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণা করে এ কথা জানিয়েছেন। ওই গবেষণার ফল ‘চাইল্ড নিউরোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষকেরা দেখেছেন, যারা রাতে বাতি নিভিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার সময় মোবাইল বন্ধ করে, তারা স্কুলে ভালো ফল করে। আর যারা বাতি নেভানোর পর আধঘণ্টা পর্যন্ত মোবাইলে বিভিন্ন ফিচার নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের ফল খারাপ হয়।

গবেষকেরা বলেন, রাতে যে শিক্ষার্থীরা বার্তা আদান করে কম ঘুমায় তারা দিনের বেলা ঝিমাতে থাকে। অবশ্য বাতি নেভানোর আগে বার্তা আদান-প্রদানে অ্যাকাডেমিক ফলাফলে তত বেশি প্রভাব পড়তে দেখা যায় না।

রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শু মিং বলেন, শিক্ষার্থীদের দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার আর দেরি করে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। যদি প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটে তখন তাদের দক্ষতা কমে যায়। স্মার্টফোন ও ট্যাব থেকে নির্গত নীল রঙের আলো অন্ধকার ঘরে চোখের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন তিনি। স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই আলো দিনের বেলায় ঝিমুনি তৈরির জন্য বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।

গবেষক মিং বলেন, শেখা, স্মৃতি তৈরি হওয়া ও শিশুদের ভেতর সামাজিক সামঞ্জস্য তৈরির জন্য গভীর ঘুমের (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট বা রেম) সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। যখন ঘুমাতে দেরি হয় এবং জাগতে দেরি হয়, তখন ওই ঘুমের পর্যায়টি সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে, যা শেখার ও স্মৃতির ওপর প্রভাব।

সূত্র : প্রথম আলো


শেয়ার করুন