রাখাইনে মানবিক সঙ্কট অবসানে বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকদের চিঠি

নিউজ ডেস্ক

ঢাকা: মায়ানমারের রাখাইনে মানবিক সঙ্কট অবসানে জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ১২ নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকরা। ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট আরও গভীরতর হচ্ছে’ উল্লেখ করেন তারা।

এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তারা খোলা চিঠি লিখেছেন বলে ইউনূস সেন্টার থেকে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

চিঠিতে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ও সদস্যদের কাছে রাখাইনের নিরীহ নাগরিকদের ওপর অত্যাচার বন্ধ এবং ওই এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সাতটি সুপারিশ বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে ১২ নোবেল লরিয়েট ও বিশ্বের বিশিষ্ট নাগরিকরা উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা পরিষদের সভা আহ্বানের জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকায় মানবীয় ট্র্যাজেডি ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ যে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তার অবসানে আপনাদের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আপনাদের এই মুহূর্তের দৃঢ় সংকল্প ও সাহসী সিদ্ধান্তের ওপর মানব ইতিহাসের ভবিষ্যৎ গতিপথ অনেকটাই নির্ভর করছে।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৬ জয়ী; মেইরিড মাগুইর, নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী; বেটি উইলিয়াম্স, নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৭৬ জয়ী; আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৪ জয়ী; অসকার আরিয়াস সানচেজ, নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৮৭ জয়ী; জোডি উইলিয়াম্স, নোবেল শান্তি পুরস্কার ১৯৯৭ জয়ী; শিরিন এবাদী, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০০৩ জয়ী; লেইমাহ বোয়ি, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী; তাওয়াক্কল কারমান, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১১ জয়ী; মালালা ইউসাফজাই, নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৪ জয়ী; স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস, চিকিৎসা শাস্ত্রে ১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী; এলিজাবেথ ব্যাকবার্ন, চিকিৎসা শাস্ত্রে ২০০৯ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ী; সাইয়েদ হামিদ আলবার, মালয়েশিয়ার প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; এমা বোনিনো, ইতালির প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজসেবী; গ্রো হারলেম ব্রান্ড্টল্যান্ড, নরওয়ের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী; মো ইব্রাহীম, উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী; কেরি কেনেডি, মানবাধিকার কর্মী; আলা মুরাবিত, লিবীয় নারী অধিকার প্রবক্তা, এসডিজি সমর্থক; নারায়ণ মুর্তি, ব্যবসায়ী নেতা; কাসিত পিরোমিয়া, থাইল্যান্ডের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী; সুরিন পিটসুয়ান, আসিয়ানের প্রাক্তন মহাসচিব; পল পোলম্যান, ব্যবসায়ী নেতা ও এসডিজি সমর্থক; ম্যারি রবিনসন, আয়ারল্যান্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট; জেফরে ডি. সাচ, পরিচালক, জাতিসংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশান্স নেটওয়ার্ক এবং ফরেস্ট হুইটেকার, অভিনেতা, এসডিজি সমর্থক।


শেয়ার করুন