রাখাইনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৬শ’র বেশি বাড়ি

 

মংদুতে পুড়িয়ে দেওয়া ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ। ছবিটি ৩১ আগস্ট তোলা। ছবি: রয়টার্স

রয়টার্স :

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধুষ্যিত এলাকায় গত সপ্তাহে ২ হাজার ৬শ’রও বেশি ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এর জন্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) কে দায়ী করেছে। এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিই গত সপ্তাহে নিরাপত্তা ফাঁড়িগুলোতে সমন্বিত হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে।

ওই হামলা থেকেই রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেনাবাহিনীও বড় ধরনের পাল্টা অভিযান শুরু করেছে।

লড়াই-সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায় ৫৮ হাজার ৬শ’ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তাদেরকে মানবিক সাহায্য সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে ত্রাণকর্মীরা।

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, দেশ ছাড়তে বাধ্য করতে সেনাবাহিনী তাদের ‘বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছে এবং নির্বিচারে হত্যা করছে’।

ওদিকে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপরিচালিত পত্রিকা ‘গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ এর দাবি, “এআরএসএ চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা মাউংতাউয়ে দুটো ওয়ার্ডসহ কাইকানপিন, মাইনলুত এবং কোটানকাউক গ্রামের মোট ২ হাজার ৬২৫ টি বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।” মিয়ানমার সরকার এআরএসএ’ কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে, মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইটে তোলা ছবি এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গদের বক্তব্যের ভিত্তিতে বলেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থটির এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, “স্যাটেলাইটে তোলা নতুন ছবিতে একটি মুসলিম গ্রামে পুরো ধ্বংস হয়ে যেতে দেখা গেছে। এ থেকে সেখানকার পরিস্থিতি যতটুকু খারাপ বলে প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল তার চেয়েও বেশি শোচনীয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।”


শেয়ার করুন