যে পাঁচ কারণে প্রতিটি মুসলিমকে ভ্রমণ করা উচিত

রোকন রাইয়ান

একটানা কাজ শরীরে একঘেয়েমি এনে দেয়। শহরের যানজট নিত্যদিনের কর্মব্যস্ততা হাপিয়ে তোলে। শরীরটাকে চাঙ্গা করতে একটু অবসর আর একটু ভ্রমণের বিকল্প নেই। সবুজ প্রকৃতি, খোলা মাঠের শীতল হাওয়া আপনার শরীরকে মুহূর্তেই ফুরফুরে করে তুলতে পারে। এছাড়াও ভ্রমণে দেখা যায় আল্লাহর সৃষ্টি অপূর্ব নিদর্শনগুলো। পাঠ নেয়া যায় ইতিহাসের। এ কারণ প্রতিটি মুসলিমকে ভ্রমণ করা উচিত। জেনে নিন কী কারণে আপনার ভ্রমণ করা উচিত।

আল্লাহর নিদর্শন দেখা
পৃথিবীটাকে আল্লাহ অপূর্ব দর্শনে সাজিয়েছেন। ফুল পাখি আর মনোরম প্রকৃতিকে মানুষের শান্তির প্রসাধন বানিয়েছেন। এসব দেখে যেন মানুষ তার সৃষ্টিকর্তাকে চিনতে পারে। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যার ছবি দেখে প্রশান্তিতে চোখ জুড়িয়ে যায়। মন ভরে উঠে অপরূপ আনন্দে। হাদিসে এসব জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করার নির্দেশ এসেছে। যাতে এমন নিদর্শন দেখে মানুষ আল্লাহমুখি হতে পারে। আল্লাহর তৈরি আশ্চর্য নিদর্শনগুলো দেখার জন্য প্রতিটি মুসলিমকে দেশ ভ্রমণ করা উচিত।

রাসুলের রওজা জিয়ারত
মুসলমানদের তীর্থস্থান হলো মক্কা ও মদিনা। যেখানে ইসলামের নবী, মুসলমানের প্রাণপ্রিয় ব্যক্তি মুহাম্মদ সা. জন্মেছেন। বড় হয়েছেন এবং ইসলামকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে প্রাণপণে লড়েছেন। মক্কা মদিনার সেই পবিত্র ভূমি রাসুলের নিদর্শন বুকে ধারণ করে রেখেছে বছরের পর বছর। প্রতিটি মুসলিমকে রাসুলের রওজা জিয়ারত এবং ইসলামের সূচনাভূমিতে ভ্রমণ করা উচিত। যা ঈমান বৃদ্ধির সহায়ক। প্রাণে উৎফুল্ল তৈরির নেয়ামক।

জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে
মানুষ নিত্যদিনের কাজ করতে করতে হাপিয়ে উঠে। জীবন তখন তপ্ত মরুময় হয়ে যায়। কোনো কাজেই তখন মন বসানো যায় না। এমন একঘেয়েমি ও জীবনের ছন্দপতন রোধ করতে ভ্রমণ করা উচিত প্রতিটি মানুষকে। ক’দিন আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টিগুলো দেখে এলে মনটা আবার ফুরফুরে হয়ে যাবে মুহূর্তেই।

মনীষীদের সম্পর্কে জানা
জীবনকে আলোকিত করতে হলে পূর্বসূরিদের জীবন সম্পর্কে জানা জরুরি। মহামনীষীগণ কিভাবে জীবন সাজিয়েছেন, কোথায় কিভাবে বিচরণ করেছেন সেসব জানাও একান্ত প্রয়োজন। ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা ও দীন কায়েমে অলি আওলিয়াদের অবদান অনস্বীকার্য। সুন্দরভাবে বেচে থাকা এবং দীনকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য প্রতিটি মুসলিমকে মনীষী ও আউলিয়াদের বিচরণভূমিগুলোতে ভ্রমণ করা উচিত।

শিক্ষার জন্য ভ্রমণ করা
রাসুল সা. তার সাহাবীদের বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়েছেন সে গোত্রের লোকদের ভাষা আয়ত্ব করার জন্য। যাতে সেখানে ইসলামদের দাওয়াত, তাদের সংস্কৃতি ও তাদের সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়। সাহাবীরা সেসব গোত্রের ভাষা আয়ত্ব করে তাদের মধ্যে ইসলাম প্রচার করেছেন। আজকের পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষা গোত্রের মানুষের বসবাস। তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি জানার জন্য প্রতিটি মুসলিমকে ভ্রমণ করা উচিত।


শেয়ার করুন