যে নামাজে শরীরের সদকা আদায় হয়

namajসিটিএন ডেস্ক:

আনুমানিক সকাল নয়টা/দশটার দিকে যে নামায পড়া হয় তাকে সালাতুয যোহা বা চাশতের নামায বলা হয়। এই নামায দুই রাকাত পড়লে করলে তাকে তাকে গাফেলদের তালিকাভুক্ত করা হয় না। চার রাকাত পড়লে তাকে ইবাদতকারীদের তালিকাভূক্ত করা হয়। ছয় রাকাত পড়লে ঐ দিন তার (নফল ইবাদতের) জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। আট রাকাত পড়লে আল্লাহ তাকে আনুগত্যকারীদের তালিকাভূক্ত করেন। আর বার রাকাত পড়লে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটা ঘর তৈরি করেন। (মাজমাউজ যাওয়ায়েদ বি হাওয়ালায়ে তিবরানী)
হযরত আবু যর রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জোড়া-গ্রন্থির উপর সদকা রয়েছে। অতএব (এর জন্য) প্রত্যেক তাসবীহ সদকা হবে। প্রত্যেকটি তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ বলা) সদকা হবে, প্রত্যেকটি তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) সদকা হবে, প্রত্যেকটি তাকবীর সদকা হবে, আমর বিল মারূফ সদকা হবে, নাহি আনিল মুনকার সদকা হবে। (অর্থাৎ এর প্রত্যেকটি দ্বারা ঐ সদকা আদায় করা যাবে।) আর এর প্রত্যেকটির জন্য চাশতের দু’রাকাত নামাযই যথেষ্ট হবে।’-সহীহ মুসলিম হাদীস : ৭২০
অপর একটি হাদিসে রয়েছে, আবু হোরাইরা রা. বলেন, “আমার বন্ধু মুহাম্মাদ সা. আমাকে তিনটি বিষয় আমল করার উপদেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসের প্রথম তিন দিন রোজা রাখা; চাশতের সালাত (সালাতুদ্ দুহা) আদায় করা এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতরের সালাত আদায় করা।” (সহীহ আল বুখারী)।
এ নামায কি নিয়মিতই পড়তে হবে?
চাশতের নামায নিয়মিত পড়া বাধ্যতামূলক নয়। এটি নফল নামাজের অন্তর্ভূক্ত।
আবু সাঈদ (রা) হতে বর্ণিত, “রাসূল (সা) ততক্ষন পর্যন্ত চাশতের সালাত পড়তে থাকতেন, যতক্ষনে আমরা ভাবতে শুরু করাতাম যে তিনি (সা) এই সালাত আর কখনো বাদ দেবেন না। আবার যখন এই সালাত আদায় করা বন্ধ রাখতেন, আমরা ভাবতাম হয়ত তিনি এই সালাত আর কখনই আদায় করবেন না।” (তিরমিযি)

এশরাকের নামায কত রাকাত?
এশরাকের নামাজের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। দুই রাকাত, চার রাকাত, ছয় রাকাত, আট রাকাত যত ইচ্ছা পড়া যাবে।
সহীহ হাদীসে হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর আট রাকাত চাশতের নামায আদায় করলেন।’-সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ২৫৩১
আরেকটি হাদীসে হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার রাকাত চাশত পড়তেন। আল্লাহ চান তো, এর চাইতে বেশিও পড়তেন।’-সহীহ মুসলিম হাদীস : ৭১৯


শেয়ার করুন