যে দেশে কমপক্ষে দুজন স্ত্রী রাখা বাধ্যতামূলক

jakia..eritrea_100169কমপক্ষে দুটি বিয়ে করতেই হবে। দেশের সব পুরুষের জন্য এমনই ফতোয়া জারি করেছে ইরিট্রিয়া সরকার। নির্দেশ অমান্য করলেই মিলবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। এমনকী কোনও স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধা দেন, শাস্তি হবে তাঁরও।

এক কেনিয়ান ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ফতোয়ার অনুবাদ ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ফতোয়ায় লেখা আছে, বহুগামিতা নিয়ে ঈশ্বরের আইন মেনে এবং দেশে পুরুষ কমে যাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, এরিট্রিয়া সরকারের ধর্ম সংক্রান্ত দপ্তর এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে:

প্রথমত, প্রত্যেক পুরুষ অন্তত দুজন নারীকে বিয়ে করবেন এবং যে পুরুষ তা করতে অস্বীকার করবেন তাঁকে কঠোর পরিশ্রম সহ যাবজ্জীবন কারাবাস করতে হবে।

যে নারী তাঁর স্বামীকে আবার বিয়ে করতে বাধা দেবেন তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

আফ্রিকার ছোট্ট দেশ ইরিট্রিয়ার জনসংখ্যা ৬৪ লাখের কিছু কম। এর এক দিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, এক দিকে জিবুটি, এক দিকে লোহিত সাগর। ইথিওপিয়ার থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন ইরিট্রিয়ার জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে। এর পর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত দুবছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলে ইথিওপিয়ার সঙ্গে। যুদ্ধে মারা যান বহু পুরুষ। সেই থেকেই দেশে নারীর অনুপাতে বেশ কমে যায় পুরুষের সংখ্যা। এই নারী-পুরুষ অনুপাতের যুক্তি দেখিয়েই নাকি সম্প্রতি জারি হয়েছে এই অদ্ভুত ফতোয়া।


শেয়ার করুন