যেভাবে জেল পালালেন মাদক সম্রাট গুজমান

maxsসিটিএন ডেস্ক:

মেক্সিকোর কড়া নিরাপত্তার আলতিপ্লানো কারাগার থেকে গত শনিবার পালিয়ে যান গুজমান।

কারাগারের নিচ দিয়ে খোঁড়া দেড় কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে যান ৫৭ বছর বয়সী এই কুখ্যাত মাদক সম্রাট। এটা তার দ্বিতীয় দফা জেল পলায়ন।

কয়েদির পোশাক পরা অবস্থায় পায়চারি করছিলেন তিনি।

কয়েকবার এদিক-ওদিকে হেঁটে কারাকক্ষের লাগোয়া স্নানঘরে যান। স্নানের জায়গাটায় গিয়ে একটু উবু হন। জায়গাটা পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকায় এ সময় তিনি ঠিক কী করছিলেন, তা আর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

কিছুক্ষণ পর স্নানঘর থেকে ফিরে এসে খাটে বসেন তিনি। জুতা বদলে আবার স্নানঘরে যান। আবারও উবু হতে দেখা যায় তাকে। এরপরই একেবারে হাওয়া।

পলায়নে ব্যবহৃত সুড়ঙ্গটির অপর অংশের মুখে একটি বাতি ও মোটরসাইকেল পেয়েছে পুলিশ। সুড়ঙ্গ দিয়ে পালানোর সময় সম্ভবত ওই বাতি ব্যবহার করেছিলেন গুজমান। এরপর এলাকা ছাড়তে মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন।

গুজমান কারাগারের স্নানঘরের মেঝেতে খোঁড়া গর্ত দিয়ে মইয়ে করে ৩০ ফুট নিচের সুড়ঙ্গে নামেন। সুড়ঙ্গটি ছিল পাঁচ ফুটের মতো উঁচু। এটি দেড় কিলোমিটার দূরে একটি নির্মাণকাজের প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

মেক্সিকোর জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনার মন্তে আলেহান্দ্রো রুবিদো বলেন, গুজমানের আচরণের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। আর দশটা সাধারণ কয়েদি যেমন আচরণ করেন, তেমনটাই তিনি করেছিলেন।

গুজমান পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পরও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। তাঁকে পালাতে সহায়তা করেছেন সন্দেহে ২২ জন কারা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল অসোরিও বলেন, মাদকসম্রাটকে পালাতে কারাগারের ভেতরের কারও সহায়তা অবশ্যই ছিল।

এরপরেই ওই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গুজমানকে ধরিয়ে দিতে মেক্সিকো সরকার ৩৮ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

দেশটিতে এর আগে সবচেয়ে কুখ্যাত আসামিদের ধরতে যে অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, এটি তার দ্বিগুণ।

গুজমানের জেল থেকে পালানোর ঘটনাকে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা সরকারের জন্য বড় ধরনের বিব্রতকর বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।

১৭ মাস আগে যখন গুজমানকে ধরা হয়, তখন সরকারের পক্ষে মহা ধুমধামের আয়োজন করা হয়েছিল।

সূত্র: এএফপি


শেয়ার করুন