যেতে চাই বহুদূর

Shahed Mizanশাহেদ ইমরান মিজান

কক্সবাজারের ব্যতিক্রমধর্মী নিউজপোর্টাল সিটিএন ২৪ ডটকম তিন বছর পেরিয়ে চার বছরে পদার্পণ করেছে আজ। পেরিয়ে আসা তিন বছরে বরাবরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সাড়া জাগানো এই নিউজপোর্টালটি। কক্সবাজারসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরের বাহন হয়ে কৌতুহল উদ্দীপ্ত মানুষের জানার আগ্রহকে পর্যাপ্তভাবে মিটিয়ে এসেছে সিটিএন। সর্বশেষ ও ব্যতিক্রমধর্মী এবং সাহসী সংবাদ প্রকাশ করে অনেক প্রশংসা ‘অর্জনের ঝুড়িতে’ ভরে রেখেছে সিটিএন। শুধু সংবাদ নয়; ‘আমরা মানবতার কথা বলি’ শ্লোগানকে সত্য-সুন্দর রূপ দিতে সমাজ সেবায়ও কম এগিয়ে যাননি এই পোর্টালটি। সব মিলে প্রশংসার এক স্বর্গ রচনা করতে সক্ষম হয়েছে সিটিএন।
শুরুতেই সিটিএন এর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য না হলেও বিগত ১৪টি মাস আমি সিটিএন পরিবারের সদস্য। সংবাদ সংক্রান্ত সিটিএন এর একটি গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি যেটি উপভোগ করেছি তা হলো স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ। প্রকাশ ও সম্পাদক সরওয়ার আলম, নির্বাহী সম্পাদক ইসলাম কখনো আমার কাজে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করেননি। কোনভাবেই অসঙ্গতি হলে তারা তা শুধরে দিয়েছেন কোমল ব্যক্তয়ে। এই জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি অকুণ্ঠচিত্তে।
সিটিএন এর চীফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সময় কঠিন-জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। হয়েছি বিভ্রান্ত। তারপরও অশেষ চেষ্টা ছিল শুদ্ধ ও সুন্দরকে অনাবিলভাবে তুলে ধরা। তা কতটুকু পেরেছি তার মূল্যায়ন পাঠকের হাতে। তবে জ্ঞাতপক্ষে কোন নির্দোষ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ক্ষতি করেছি বলে মনে হয় না। তবে সমাজের দুর্নীতিবাজ, মুখোশধারী অপকর্মকারীদের ছাড় দিইনি। এতে অনেকের ক্ষতি হয়েছে বটে সমাজ ও মানুষ উপকৃত হয়েছে। এ কারণে অনেকের চক্ষুশুল হয়েছে সিটিএন। তারপরও আমরা আমাদের সংকল্প থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি।
কক্সবাজার কেজি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী তানহার আত্মহননের নেপথ্য কাহিনী নি:সংকোচে প্রকাশ করেছি আমরা। পিপি পুত্রের প্রেমের বলী হয়ে অকালে ঝরে গিয়েছিল অদম্য মেধাবী তানহা। তার অকাল প্রয়াণ নিয়ে প্রকাশিত হৃদয়হরণকারী প্রতিবেদন সাড়া ফেলেছিল সর্বত্র। সিটিএন থেকে সংগ্রহ করে তা প্রায় সকল মিডিয়া প্রকাশ করেছিল। এতে প্রভাবশালীদের হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু আপোষ করিনি।
একইভাবে উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া মাওলানা বেলাল নামের একজনের নারী কেলেঙ্কারীর কুর্কীতিও দু:সাহসিকভাবে প্রকাশ করেছিলাম আমরা। বিবাহিত হয়েও অন্যের হবু বউকে নিয়ে পালিয়ে ছিলো বেলাল। সে ধর্মের দোহাই দিয়েও রক্ষা পায়নি। তার কুর্কীতি সিটিএন প্রকাশ হলে মসজিদের খতিব, মাদ্রাসার শিক্ষকতা থেকে বহিস্কৃত হয়ে সমাজছাড়া হয়েছে সেই বেলাল। এর ফলে রক্ষা পেয়েছে সমাজ ও প্রজন্ম। এরকম অসংখ্য রেকর্ড আমাদের রয়েছে।
অন্যদিকে সাথে সমাজের আমরা তুলে এনেছি সমাজে ভালো মানুষের কর্মময় সাফল্যকে। এগিয়ে এসেছি অসহায় ও নীতিবান মানুষের পক্ষ হয়ে। এতে পেয়েছি অনেক ভালোবাসা ও প্রশংসা। উপকৃত হয়েছে অনেক মানুষ।
চলমান ঘটনার সর্বশেষ খবরটি পেতে সিটিএন দিকে মুখিয়ে থাকেন অগণিত পাঠক। এটি আমাদের আমাদের সব থেকে বড় অর্জন । এখন পর্যন্ত সর্বশেষ খবর মানেই সিটিএন। আমরা সেই দাবি করতেই পারি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সব ঘটনার সঠিক চিত্র সবার আগে প্রকাশ করার। পাঠকের কৌতুলের খোরাক জোগাতে পেরে আমরাও গর্বিত, আনন্দিত।
পেরিয়ে এসেছি তিনটি বছর। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য অনেক দূর, আমাদের যাত্রা হবে অনন্ত। আমরা হাজার বছর পৃথিবীকে আগলে রাখতে চাই সত্য-সুন্দরের মিহিজালে। বদলের মিছিলে আমরা হতে চাই অগ্রসারথী। বদলে দিতে চাই পৃথিবীকে। ভালো পৃথিবী গড়তে চাই নতুন প্রজন্মের জন্য। তাই আগামীর পথচলায় আমাদের কর্মকান্ড হবে আরো বৃহৎ ও উজ্জ্বল্য। আমাদের নিরলস চেষ্টা ভালো কিছু দেয়ার। দিতে চাই সেরা কিছু। যেতে চাই বহুদূর। এর জন্য আমাদের দরকার পাঠকের অপূরন্ত ভালোবাসা। প্রিয় পাঠক, সারথী হবেন আমাদের অগ্রযাত্রায়। সাথে আছি, সাথে থাকবো- কথা দিলাম।
লেখক: চীফ রিপোর্টার, সিটিএন২৪ ডটকম


শেয়ার করুন