যুবলীগ নেতা তাজমহলের হামলার শিকার তথ্য সংগ্রহকারী

downloadসংবাদদাতা :
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার ছবি তোলার সময় সদর উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি তাজমহলের হাতে এক তথ্য সংগ্রহকারী হামলার স্বীকার হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নির্ধারিত ছবি তোলার দিন ধার্য্য ছিল। তথ্য ফরমে স্থানীয় ইউপি সদস্যের যাচাইকারী হিসেবে স্বাক্ষর করার কথা থাকলেও ঐসময়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য যুব লীগ নেতা তাজমহল মেম্বার উপস্থিত না থাকায় বিষয়টি সুপারভাইজার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বেদারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মহিলা সদস্য জনাব শাহিনা আক্তারকে যাচাইকারীর দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান এবং তিনি যাচাইকারীর স্বাক্ষর প্রদান করতে থাকেন। এমতাবস্থায় তাজমহল মেম্বার উপস্থিত হয়ে মহিলা সদস্যকে গালিগালাজ করার পর তোতকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পিএমখালী ৩নং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ ছলিম উদ্দিন কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে টেনে হেছরে ও লাঠি নিয়ে মারতে থাকে। এসময় ছবি তোলার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও গালিগালাজ করে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অবহিত করলে তিনি উপস্থিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের শর্তে ছবি তোলার কাজ চালানোর অনুরোধ করেন। উক্ত ঘটনার পর জেলা শিক্ষকনেতৃবৃন্দ সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাথে দেখা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান। অন্যতায় শিক্ষকবৃন্দ পাঠদান ব্যতীত সকল ধরনের অতিরিক্ত দায়িত্ব বর্জনের সিদ্ধান্ত জানান। উক্ত ঘটনায় অবিলম্বে সন্ত্রাসী তাজমহল কে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ জাবের, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কক্সবাজার সদর (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, শিক্ষক নেতা শফি উল্লাহ, শিমুল দেব, প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি নেতৃবন্দ যথাক্রমে জেলা আহ্বায়ক শামশুল আলম, যুগ্ম-আহ্বায়ক রমজান আলী, মিজবাহুল আলম, সোহেল সরওয়ার, জিয়াবুল হক, মুজিবুল হক, জামাল উদ্দিন,মোসলেম উদ্দিন, নুরুল আমিন, টিটু বড়–য়া, তাজ উদ্দিন, ফকরু উদ্দিন প্রমুখ।


শেয়ার করুন