যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে তার ‘সামরিক হিস্টিরিয়ার’ সমাপ্তি টানতে বলেছে উত্তর কোরিয়া নইলে প্রত্যাঘাতের মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছে।
শনিবার উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী ‘সূর্যের দিন’ পালনের উপলক্ষ্যে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক প্যারেড পরিদর্শন করছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। এই প্যারেড অনুষ্ঠানে উনকে অনেক উৎফুল্ল দেখা গেছে।
এই দিনটি উপলেক্ষ্যে উত্তর কোরিয়া নতুন কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে, এমন সম্ভাবনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশটির নতুন অস্ত্রের পরীক্ষার জবাব যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে দিবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ‘ধৈর্যচ্যুতি’ঘটেছে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইতোমধ্যে কোরীয় উপদ্বীপের পথে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী বহর। জাপানি যুদ্ধজাহাজও এই বহরের সঙ্গে যোগ দিবে এমন ঘোষণাও এসেছে।
সম্প্রতি সিরিয়ায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে চালানো এক হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। এরপর থেকেই উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে আফগানিস্তানেও আইএস জঙ্গিদের ওপর ‘মাদার অব অল বোম্বস’ নামের অপারমাণবিক সবচেয়ে বড় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তিনি।
কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। রয়টার্স
কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। রয়টার্স
কোরিয়ান (উত্তর) পিপলস আর্মির জেনারেল স্টাফের এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, “ডিপিআরকে-র প্রতি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুতামূলক নীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের যেসব দস্যুতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর পাল্টা ও সমুচিত জবাব দিবে ডিপিআরকে-র সেনাবাহিনী ও জনগণ।
“যুক্তরাষ্ট্র ও তার নৌবাহিনীকে চরম প্রত্যাঘাতের মাধ্যমে এমন নির্দয় জবাব দেওয়া হবে যে হানাদাররা বাঁচারই সুযোগ পাবে না।”
কেসিএনএ বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘গুরুতর সামরিক হিস্টিরিয়া একটি বিপজ্জনক পর্যায়ে’ পৌঁছে গেছে ‘যাকে আর অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না।”
ডিপিআরকে বা ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার দাপ্তরিক নাম।