‘যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া’

A+policeman+directs+traffic+at+the+Kim+Il+Sung+Stadium+before+North+Koreaসিটিএন ডেস্কঃ

শনিবারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এদিন তাকে হাসিখুশি ও আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

অনুষ্ঠানে কিম বলেন, “ওয়ার্কাস পার্টির বিপ্লবী রণসজ্জার অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী আচরণের কারণে সৃষ্ট যে কোনো যুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুত।”

কিমের বক্তব্যের সঙ্গে মিল রেখেই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে রেভল্যুশনারি ফোর্স যে ইউনিফর্ম পরে যুদ্ধ করেছিল ওই ধরনের ইউনিফর্ম পরে প্রথমে একদল সেনা কুচকাওয়াজ স্থল প্রদক্ষিণ করে।

কুচকাওয়াজ শেষে অস্ত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখন কিম।

রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কিম (দ্বিতীয়) সাং স্কয়ারে কেন্দ্রস্থলে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে কিমের পাশে উপস্থিত ছিলেন চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা লিউ ইউনশান।

কিম যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা জানালেও এদিন নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে কোনো কথা বলেননি।।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র উত্তর কোরিয়ার হাতে আছে বলেই বিশ্বাস ওয়াশিংটনের। তাই তারা সবসময় এ ধরনের আঘাত প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকে।

১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়। সম্মুখ যুদ্ধের সমাপ্তি হলেও দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই এখনও চলছে। People+pass+by+soldiers+and+their+vehicles+lined+up+on+banks+of+Taedong+River+before+the+start+of+a দক্ষিণ কোরিয়ায় গণতন্ত্র এলেও উত্তর কোরিয়া এখনও আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন।

পারমাণবিক অস্ত্র ও রকেট প্রকল্পের কারণে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র দেশটির উপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এছাড়া উত্তর কোরিয়া প্রায়ই দক্ষিণ কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকে। আর এসব ক্ষেত্রে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে সবসময়ই পাশে পায় দক্ষিণ কোরিয়া।

২০১১ সালে বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন কিম। তিনি ক্ষমতায় আসার পর চীনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হিসেবে উত্তর কোরিয়া সফর করছেন লিউ ইউনশান।

সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানায়, কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে লিউ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ে পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠ করেন।

চিঠিতে শি জিনপিং বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখা চীনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র এবং প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার। পরমাণু প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও সবসময় চীনকে পাশে পায় দেশটি।


শেয়ার করুন