ঈদকে উপলক্ষ করে

মৌসুমী ভিক্ষুকে ভরে গেছে কক্সবাজার

bikko picমহিউদ্দিন মাহী,সিটিএন
কক্সবাজারে ঈদ মৌসুমকে টার্গেট করে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভিক্ষুকের আগমণ ঘটেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। এসব ভিক্ষুক শহরের বাড়ী বাড়ী, মসজিদের সামনে, বিভিন্ন এতিমখানা ও হেফজ খানার নাম দিয়ে তারা চাঁদা কিংবা রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করছে।
গতকয়েকদিন শহরের বিভিন্ন স্পটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরে ভিক্ষাবৃত্তি করতে আসা বেশির ভাগই শহরের বাইরের। তারা কয়েকটি সিন্ডিকেট করে দল বেধে আসে ভিক্ষার টাকা জোগাড় করার জন্য।
শহরের বদর মোকাম মসজিদের সামনে কলাতলীতে থেকে ফিতরা যাকাতের আশায় এসেছিলেন দিল মোহাম্মদ (৫৫) নামের এক ভিক্ষুক। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি আগে একটি হোটেলে চাকরী করতেন। কিন্তু এখন তার শরীরে শক্তি আর নেই। পরিবারে ৮ সদস্য। তাদের ভরন-পোষন করতে হিমশিম খেতে হয়। আবার এখন সামনে ঈদ মৌসুম। তাই মৌসুমী ভিক্ষাবৃত্তির পথটা বেছে নিলেন। শুধু তিনি নন, শহরের সমিতি পাড়া থেকে এসেছিলেন সাবেকুন নাহার। তার আপন বলতে পৃথিবীতে কেউ বেঁচে নেই। ছোট ভাই আবার মানসিক ভারসাম্যহীন। ঈদ উপলক্ষে একটি নতুন শাড়ি আর কিছু ফিতরা ও যাকাত এর টাকা পেলে তাদের মনের কষ্ট অনেক কমে যায়।
এদিকে সিন্ডিকেটধারী ভিক্ষুকেরা এমন কৌশল অবলম্বন করে, হাতের কব্জি বাঁকা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আবার প্যারালাইজড রোগীর মত ছদ্মবেশে দেখা যায়। ddddddd
ঈদের সময়টাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে প্রতিদিন গড়ে ২০/৩০ জন মৌসুমি ভিক্ষুক প্রবেশ করছে। ভিক্ষুুক ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর রমজান ও ঈদুর ফিতরের আগে হতদরিদ্রকে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে আসে। ঈদ শেষে তাদের আবার গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইসলাম মাহমুদ নামে এক শিক্ষাবীদ জানান, রমজানে প্রতিদিন একজন ভিক্ষুক ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় করে থাকে। সেই হিসেবে তার মাসিক আয় ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়াও অনেক মাদ্রাসার নাম দিয়ে রশিদ বানিয়ে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনি এক প্রতারক চক্রের মৌলানা আব্দুল লতিফ নামে এক সদস্যকে স্থানীয় এক হোটেলে ধরে ফেলে কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি। তার কাছ থেকে লিংক রোড এলাকার দক্ষিণ মুহরী পাড়া ৩৬০ আউলিয়ার মসজিদের কিছু প্রিন্ট করা রশিদ বই, পরিচালনা কমিটির একটি তালিকাও পাওয়া যায়। সেখানে সভাপতির দায়িত্বে সাদেক সিকদার, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আহমদের নাম দেখা যায়। তবে সাধারণ সম্পাদক জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি বলেও তিনি দাবী করেন। পরে তার কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


শেয়ার করুন