আন্তর্জাতিক ডেস্ক |
ঢাকা: ‘আমরা কোথায় যাবো? যেখানে যাই, সেখানেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়। প্রতিমুহূর্তে মৃত্যু আমাদের তাড়া করে।’
সিরায়ার ইদলিব প্রদেশে বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া শরণার্থীদের কণ্ঠে এমন আহাজারির কথাই শনিবার (০৭ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বিকেলে দেশটির ইদলিব প্রদেশে তুরস্ক সীমান্তের কাছে একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৩০ জন নিহত হন এবং আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
ওইদিন বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া মোহাম্মেদ নামে এক শরর্ণার্থী জানান, প্লেন হামলায় তিনি তার মেয়ে ও নাতিকে হারিয়েছেন। এছাড়া, তার একমাত্র ছেলেও ওই হামলায় আহত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘হামলার পর আমি দেখলাম আমার ছেলের নাভিতে এবং ঘাড়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো।’
শরণার্থী মোস্তফা বলেন, ‘আমরা কোথায় যাবো? আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ দেন, যেখানে আমরা যেতে পারবো। আমরা যদি এখানে থাকি কিংবা বাড়িতে ফিরে যাই, আমরা মারা পড়বো।
বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ৭২ ঘণ্টা বাড়নো হয়েছে। বর্ধিত সময় শনিবারের মধ্যেই (০৭ মে) শেষ হচ্ছে। এরপর কী হবে? যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ফের একের পর এক হামলা অব্যাহত থাকবে, নাকি শান্তির দেখা মেলবে হতভাগ্য সিরীয় শরণার্থীদের? এমন দ্বিধান্বিত প্রশ্নই সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।