মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ বাদ পড়ার কারণ

বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান বলা হয় তাঁকে। টেস্টে গড়টা প্রায় ৪৭। ২২ টেস্টের ক্যারিয়ারের ১৫ বার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান নামে খ্যাত মুমিনুল হক। যার মধ্যে আছে চারটি সেঞ্চুরি ও ১১টি হাফ সেঞ্চুরি। সম্প্রতি প্রস্তুতি ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলে জায়গা পেলেন না এই ব্যাটসম্যান। অসিদের বিপক্ষে দলে নেই বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারে ব্যাটিং-স্তম্ভখ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেকের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলে নিয়মিত মুখ মুমিনুল হক। অভিষেকেই করেন ৫৫ রান। এরপর ১২ টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি ও সাতটি হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। টানা ১১ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে নিজেকে দাঁড় করান ভিভ রিচার্ডস, বীরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীরের মতো ব্যাটসম্যানদের কাতারে। তবে এরপরই কিছুটা বিবর্ণ হয়ে যান মুমিনুল। পরের দশ টেস্টে একটিও সেঞ্চুরি নেই তাঁর। হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে চারটি। ফলে গড়টাও নেমে আসে পঞ্চাশের নিচে। ফলে এই বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ে যান।
তবে আবার টেস্ট দলে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। চট্টগ্রামে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৩ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। এরপর আশা করা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলে ফিরতে পারেন মুমিনুল। তবে নির্বাচকরা এখনো সন্তুষ্ট নন এই ব্যাটসম্যানের ওপর।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘সার্বিক ফর্ম জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে মুমিনুলকে। গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সে খুবই বাজে ফর্মে রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্ষেত্রেও একই কারণ দাঁড় করান প্রধান নিবাচক। অথচ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ এক শতক করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে টেস্টে বেশ কিছুদিন ধরেই রান পাচ্ছেন না এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এ বছর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিতে হাফ সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো আর তেমন স্কোর নেই তাঁর। ২০১০ সালে একমাত্র শতকটি করার পর টেস্টে এখনো শতকের খোঁজে রয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের বিপক্ষে যেখানে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, অথচ সিরিজ শুরুর আগে মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলদের মতো অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা আত্মঘাতী না সময়োপযোগী হয়েছে সেটা সিরিজের পরই বোঝা যাবে।


শেয়ার করুন