মুক্তিসংগ্রামী আপসহীন বরেণ্য সাংবাদিক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম

editor-dcকালাম আজাদ :

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সম্পর্কে আমার জেলাতুতো ভাই। কক্সবাজার অঞ্চলের রাজনৈতিক ও বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনের এবং সাংবাদিকতার জগতের অন্যতম পূরোধা হিসেবে স্বীকৃত। জন্ম ৬ জুন ১৯৩৮। তৎকালীন চকরিয়া উপজেলা ও বর্তমানে পেকুয়া উপজেলার মগনামার হাজি আশারাফ মিয়া ও খুইল্যা বিবির সন্তান। ১৯৫৩ সালে কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বাংলার আকাশে প্রবাহিত হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের হাওয়া। ভাষার দাবির মিছিল ও সমাবেশে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বায়ান্নের উত্তাল ভাষা আন্দোলনের একজন ভাষাযোদ্ধা হিসেবে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি উত্তর রুমালিয়ারছড়াস্থ বাসায় তার মুখোমুখি হয়েছিলাম ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তার অভিমত জানতে। তিনি তখন কুতুবদিয়া বড়ঘোপ হাই স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে পড়তেন। কুতুবদিয়ায় কিভাবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিলে সে সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেছেন বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক।
কুতুবদিয়া উপজেলা চট্টগ্রাম জেলার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র হত্যার খবরটি কুতুবদিয়ায় আসে ২২ ফেব্রুয়ারি। ২২ ফেব্রুয়ারি কুতুবদিয়ায় এ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে কুতুবদিয়া কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও ধুরং হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ওই দিন চট্টগ্রাম থেকে আসা একে খান স্টিমার থেকে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকার মাধ্যমে এ খরটি পান কুতুবদিয়া কুতুবদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা ও দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক)।
তিনি সেই দিনের স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের মতো বড়ঘোপ স্টীমার ঘাটে গিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আসা এ কে খান স্টীমারে গিয়ে তখনকার সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (পরবর্তীতে দৈনিক ইত্তেফাক) আনতে গিয়ে ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির মিছিলে পুলিশের গুলি ও ছাত্র হত্যার খবরটি দেখা মাত্র কুতুবদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে স্কুলের বড় ভাই এবং সহপাঠী বন্ধুদের বলি এবং তাদের সম্মতিতে আমি নিজেই স্কুলের ঘণ্টা বাজিয়ে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে মিছিলে যোগদান করার আহ্বান জানাই ছাত্রদেরকে। ১০ম শ্রেণির ছাত্র এস কে মকবুল আহমদ, ৯ম শ্রেণির ছাত্র সিরাজুল ইসলাম, শামসুল হুদা সিদ্দিকী, ও আমার নেতৃত্বে স্কুলের ছাত্ররা খরবটি লুফে নিয়ে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী কুতুবদিয়া হাই স্কুল থেকে ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, ‘খুনী আমিনের ফাসি চাই’ শ্লোগানে শ্লোগানে বের হয়ে বর্তমানের থানা কম্পাউন্টসহ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুতুবদিয়া হাই স্কুলের সমবেত হই। এ দিকে ধুরং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন আহমদ এর নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে আমাদের কুতুবদিয়া হাই স্কুলের সামনে সমবেত হয়। পরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এস কে মকবুল আহমদ, ৯ম শেণির ফাস্ট বয় মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আমি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ধুরং হাই স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন আহমদ (পরবর্তীতে ধুরুং হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন কুতুবদিয়ায় সংঘটিত ঘটনায় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার ২০ নং আসামী), মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী (বর্তমানে জীবিত), শামসুল হুদা সিদ্দিকী প্রমুখ। ওই সমাবেশে ছাত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়।’
ওই সময় কুতুবদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জালাল আহমদ চৌধুরীও ( একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় কনভেনশন মুসলিম লীগের নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কুতুবদিয়া শান্তি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন এবং স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন) যথেষ্ট সহায়তা করেন বলে জানান তিনি।
ওই মিছিল ও সমাবেশে ছিলেন, এস কে মকবুল আহমদ, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, রাখাল চন্দ্র নাথ, মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, শামসুল হুদা ছিদ্দিকী। তবে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। তার সহপাঠীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ডা. রাখাল চন্দ্র নাথ, শামসুল হুদা ছিদ্দিকী, মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, শামসুল হুদা চৌধুরী প্রমুখ।
পরবর্তীতে আরও কয়েকটি পথসভাও হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে। ওই সকল পথসভায় ছাত্র হত্যার বিচার এবং বাংলাকে রাষ্টভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
সেই সময় ‘আউলিয়ার দেশ কুতুবিদয়া’ গ্রন্থের প্রণেতা রশিদ আহমদ ধুরং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বাংলার দাবিতে মিছিলে সমাবেশে যথেষ্ট সহায়তা করেন। তাছাড়া তিনি ১৯৪৭ সালে অলইন্ডিয়া রেডিও, ঢাকা স্টেশনে প্রোগ্রাম সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালে মৌলভী ফরিদ আহমদ (একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি ও কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিকভাবে ঘৃণিত হন এবং নিহত হন) প্রভাবে সরকারি চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে নিজ থানা কুতুবদিয়ায় ফেরত আসেন এবং ধুরং হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৩ সালে ম্যাট্রিক (এস এস সি) পাশ করে ভর্তি হন সাতকানিয়া কলেজে (ওই সময় কক্সবাজার জেলায় কোনো কলেজ ছিল না)। ওই কলেজে পড়াকালীন সময়ে পাকিস্তান বিরোধী প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি । অনুষ্ঠিত হয় ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট আন্দোলন। । ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র হিসাবে নুরুল আমিনের জনসভা বানচাল-প্রচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামের লালদীঘির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অন্যান্যদের সাথে আটক হন ও ৪ ঘণ্টা পরে মুক্তি পান।
১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম নৈশ কলেজ (বর্তমানে সিটি কলেজ) থেকে স্নাতক পাশ করে পাকিস্তান সরকার বিরোধী এনডিএফ-এ যোগ দেন এবং ১৯৬৩ সালে এনডিএফ-এর কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক নিযুক্ত হন।
১৯৬২ সালে তার সভাপতিত্বে কক্সবাজারের আদালত মাঠে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) একটি সভা হয়। সেই সভায় সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান ও চট্টগ্রামের রাজনীতিবিদ নবী চৌধুরী এসেছিলেন। সভা শেষে রাতে কক্সবাজার সী-বিচ রেস্ট হাউসে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে একান্তে রাজনৈতিক আলাপ হয় মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের। সেই আলাপেই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এনডিএফ দিয়ে হবে না, আওয়ামী লীগ গঠন করতে হবে।’ এ কথা বলেই শেখ মুজিবুর রহমান মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের হাতে হাত রেখে কথা পাকাপাকি করেন। তারপর ১৯৬৪ সালে আবার কক্সবাজার আসেন শেখ মুজিবুর রহমান (তিনি তখনো বঙ্গবন্ধু হন নি)। সেই ১৯৬৪ সালে প্রথম একটি মুজিব কোট মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম সেলাই করেছিলেন। তাও বঙ্গবন্ধুর কক্সবাজার আগমন উপলক্ষে। মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, এখনো মনে আছে, তাঁর সেই ডিসেন্ট টেইলার্সের কথা। কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরির উত্তর পাশে প্রধান সড়কেই ছিল মরহুম মোহাম্মদ আলীর টেইলারিং দোকানটি। সেই ডিসেন্ট টেইলার্স কালের সাক্ষী হয়ে এখনো আছে। তখনকার দিনে ডিসেন্ট টেইলার্সই এ শহরের একমাত্র বনেদি মানুষের কাপড় সেলাইয়ের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ছিল। মুজিব কোট গায়ে দিয়ে যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মঞ্চে উঠলেন, তখন বঙ্গবন্ধু নাকি মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘তোকে তো বেশ মানিয়েছে, সব সময় পরবি কিন্তু…।’ এই মঞ্চেই কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামী লীগ গঠন করা হয়। তিনি মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। তখন শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহপাঠী আফসার কামাল চৌধুরীকে সভাপতি এবং তরুন আইনজীবী নুর আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন সহচর হিসেবে ১৯৬৪ সালে কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালের কপ আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর অভ্যুত্থান ও ’৭১-এর কক্সবাজার মহকুমা সংগ্রাম কমিটির একজন সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে গঞ্জে ঘুরে বেরিয়েছেন। মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ‘ছয় দফা কী ও কেন? ’এবং ‘ইসলামের দৃষ্টিতে ছয় দফা’ নামে দুটি পুস্তিকা লিখে ছয় দফা আন্দোলনের পক্ষে কাজ করেন। অনেকটা সফলও হন তিনি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের কথা বলতে গিয়ে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, তখন আমরা কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। পশ্চিমা হায়েনারা এলাকায় এসে গেছে। তাই আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। গায়ে মুজিব কোট। তার ওপর শীতের চাদর গায়ে দিয়ে পথে বের হব। সঙ্গে চকরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এবং আমার স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল হক। মোজাম্মেল ভাই আমার গায়ে মুজিব কোট দেখে অনুরোধ করলেন, যাতে এটি খুলে রেখে দিই। পথে-ঘাটে রাজাকাররা যদি মুজিব কোট দেখে তাহলে শেষ করে ফেলবে। আমি বললাম, মরলে মুজিব কোট গায়ে দিয়েই মরব।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কৃষকলীগ-এর জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য। ১৯৭৪ সালে বাকশালে যোগদান ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য মনোনীত। পরবর্তীতে বাকশাল বিলুপ্ত হলে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেন এবং তিনি এখনো কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধরে রেখেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকায় তোপখানা রোডের হোটেল সম্রাটে ছিলেন নুরুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কারফিউ জারি করা হয়েছিল সেদিন। ১৫ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। এ সময় তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক আবুল ফজল হাজারির বাসায়। সঙ্গে কক্সবাজারের যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন মাহমুদ। সালাউদ্দিন মাহমুদ অনেক আকুতি করেছিলেন গায়ের মুজিব কোট খুলে রাখার জন্য; কিন্তু তাও ভুলেননি। সেদিন অনেক দলীয় নেতাই খুলে রেখেছিলেন মুজিব কোট। অনেকেই নাকি সেদিন তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপদ মনে নয় করে তাঁকে ছেড়েও গিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির এমন ক্রান্তিলগ্নেও গায়ে মুজিব কোট নিয়ে তিনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার এসে পৌঁছেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে মুজিব কোট গায়ে দিতেন সেটি আমিও দিই।’
আশির দশকে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদে উপর্যুপরি দুবার চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন।
স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে ১৯৬১ সালে দৈনিক আজাদীর চট্টগ্রাম অফিসে স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিকতার সূচনা। ১৯৭২ সালে বাংলার বাণী’র কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি। ১৯৭৩-৭৪ সালে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এনা’র জেলা প্রতিনিধি। ১৯৭৮ সালে সাপ্তাহিক কক্সবাজার, ১৯৮০ সালে সাপ্তাহিক স্বদেশ বাণী এবং ১৯৯১ থেকে কক্সবাজার জেলার প্রথম নিয়মিত দৈনিক কক্সবাজার সম্পাদনা ও প্রকাশ। বর্তমানে পত্রিকাটি রঙিনরূপে প্রকাশ হচ্ছে। তিনি ১৯৭৪ সালে মাসিক সাময়িকী প্রিয়তমা প্রকাশ করেন। কক্সবাজার সাংবাদিকতার বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৫ সালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব গঠন ও ক্লাবের আহ্বায়ক মনোনীত হন। ১৯৭৬ থেকে পরপর আট দফা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। (সংক্ষেপিত)।

দোহাই

১. মালিক সোবহান, কক্সবাজার চরিত কোষ, জুলাই ২০০৭, কক্সবাজার : কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী।
২. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, আমার দেখা শেখ মুজিব ও কক্সবাজারের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিজয় স্মারক, ১৬ ডিসেম্বর ২০১২, কক্সবাজার : জেলা প্রশাসন।
৩. কালাম আজাদ, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার, ২৪ জুন ২০১৪, http:/ww/w.somewhereinblog.net/blog/KALAMAZADCOX007/29959623
৪. কালাম আজাদ, মুক্তিসংগ্রামে কক্সবাজার : প্রসঙ্গ রাজনীতি, বিজয় স্মারক ২০১৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪, কক্সবাজার : জেলা প্রশাসন।
৫. কালাম আজাদ, ‘ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’, ফেব্রুয়ারি ২০১৫, চট্টগ্রাম: তৃতীয় চোখ।
৬. কালাম আজাদ, ভাষা আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিলো কুতুবদিয়া, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, দৈনিক কক্সবাজার।
৭. আজাদ মনসুর, ‘কক্সবাজার সাংবাদিক কোষ’, ফেব্রুয়ারি ২০১৫, কক্সবাজার : কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী।
৮. মুজিব কোর্ট গায়ে ৫১ বছর, ১৫ আগস্ট ২০১৫, দৈনিক কালেরকণ্ঠ।

কালাম আজাদ : কবি ও গবেষক।  সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ : ‘ভাষা আন্দোলনে কক্সবাজার’


শেয়ার করুন