চকরিয়ায়

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

download (3)নিজস্ব প্রতিনিধি :

চকরিয়া উপজেলায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আলোচিত এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত ২৯অক্টোবর চকরিয়া উপজেলা জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে তারা মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সহ বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিচ্ছেন।

গতকাল বিকাল তিনটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হাবিলদার আবুল কালামের কন্যা আলহাজ্ব হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে পৌরএলাকার ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরীতে বিএস খতিয়ান নং-৩১ জমাভাগ খতিয়ান নং-১০২৯, দাগ ৩২৬ ও ৩৩২ এ জমি কিনে বসবাস করে আসছি। ওই জমিতে একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করছি। কিন্তু উপজেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচিরের নেতৃত্বে ওই জমি অবৈধভাবে দখল নিতে একাধিকবার চেষ্ঠা চালিয়েছিল। গত ৪ মে যুবলীগ নেতা কছিরের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। তারা মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল কালামের কন্যা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হাসিনা বেগমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করে। তাকে চাদা না দেওয়ায় ওই যুবলীগ নেতা তার ক্রয়কৃত জমি ওপর নির্মিত সেমিপাকা দুটি ঘর দখল করেছেন। এঘটনায় হাসিনা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কাউছার উদ্দিন কচির, আব্বাস উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, ইলিয়াছ ও শফিউল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর চকরিয়া থানা পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসাবে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দাখিল করেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও রয়েছে। কিন্তু ওই মামলার ৪নং আসামীর স্ত্রী তছলিমা আক্তার বাদী হয়ে মুক্তিযোদ্ধা কন্যা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে একটি সাজানো মিথ্যা দায়ের করেন। সেখানে রাউজান উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বাবলু, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শহীদুল ইসলাম সোহেল, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি অনার্সে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুমি আক্তারসহ পরিবারের অন্যন্যা সদস্যদের আসামী করা হয়েছে। অথচ তিনি এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। মুলত তিন মাস পূর্বের ঘটনা দেখালেও ঘটনারদিন তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ও পড়াশোনায় ব্যস্থ ছিলেন। অথচ বাদী তছলিমা আক্তার গত ২৯ অক্টোবর উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।

হাসিনা বেগম আরও জানান, এসব আসামীরা এর আগেও হামলা, মামলা ও তার ক্রয়কৃত জমি দখল করেছেন। এঘটনায় গত এক মাস পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচিরের নানা অপকর্ম তুলে ধরি। ওইসময় প্রধানমন্ত্রী সবকথা শোনে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কারের নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগ নেতা কচিরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাৎক্ষনিক তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। যুবলীগের এই নেতাকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি।


শেয়ার করুন