মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল যুবক

02
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শহরের চিহ্নিত অপহরণকারী চক্র রুহুল আমিন (৪০) নামে এক যুবককে অপহরণ করে আবাসিক হোটেলে রুমে আটকে রেখে মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আবাসিক হোটেল বা কটেজের রুমকেই নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে অপহরনকারীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ৮ টার দিয়ে। রুহুল আমিন টেকনাফের হ্নীলা ফুলের ডেইল এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তাকে শহরের ঝাউতলাস্থ আবাসিক হোটেল সাগরগাঁওয়ের ৩১২ নাম্বার রুমে আটকে রেখে নির্যাতন পূর্বক বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায় করে।
অপহরনের শিকার রুহুল আমিন জানান, তিনি ব্যবসায়ীক কাজে কক্সবাজার আসেন। তিনি শহরের বিমান বন্দর সড়কের মুখে দাড়াঁলে ডিবি পরিচয়ে ২ ব্যক্তি এসে তাকে সাগরগাও আবাসিক হোটেলের ৪ তলার ৩১২ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়। ২ ব্যক্তি ছাড়া নারীসহ ওই রুমে আরো ৩ জন ছিলেন। তারা রুহুল আমিনের সাথে থাকা নগত ১৭শ টাকা, মোবাইর ও গড়ি ছিনিয়ে নেয় এবং ব্যাপক মারধর করে। আগে থেকে রুমে থাকা নারী জানান, কোন ধরনের চালাকি করলে কুকর্মের উদ্দেশ্যে এসেছে বলে ফাঁসিয়ে দেবে। তারা রুহুল আমিনকে কিল, গুসি ছাড়াও লাঠি দিয়ে মারধর করে মুক্তিপনের টাকার জন্য। পরে রুহুল আমিন তার ছেলে কামরুল ইসলাম বাবার মুক্তির জন্য ২ দফায় ১৫ হাজার টাকা পাটায় বিকাশের মাধ্যমে। অপহরনকারীদের দেওয়া নাম্বার হল (০১৮৬৯৩৫০৫০৬)। পর দিন সকাল ৮ টায় তাকে চিৎকার করলে মেরে ফেলবে বলে হোটেলের নীচে সিএনজিতে তুলার চেষ্টা করে। ওই সময় রুহুল আমিন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অপহরনকারীরা তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে রুহুল আমিন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সাগরগাঁও হোটেলে গেলে হোটের কর্তৃপক্ষ অপহরণকারীদের পরিচয় দিতে কোনধরনের সহযোগিতা করতে পারেননি।
ঝাউতলাস্থ আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান শুরুতেই এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বললেও পরে অবগত রয়েছে বলে জানান। ম্যানেজারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগের দিন শুক্রবার বিকাল ৩ টায় ৩১২ নাম্বার রুমে উঠেছিল ২ জন এবং রুম ছাড়েন পরের দিন সকালে। আর ওই সময়ের সাথে রুহুল আমিনের অপহরণ আর ছাড়া পাওয়ার সময়টি মিলে যায়।
অপহরণ হওয়া যুবকের ভাই বাচ্চু জানান, ৩১২ নাম্বার রুমটি নিয়েছে ২ ব্যক্তি। কিন্তু ওই রুমে অপহরণকারী সিন্টিকেটের একাধিক সদস্যের আসা-যাওয়া এবং অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপন দাবী করার বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষের কেউ না কেউ জানেন। নয়ত একটি আবাসিক হোটেলে এভাবে হতে পারে না।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি জানান, পুলিশ বরাবরেই সক্রিয় রয়েছে অপহরনকারীসহ নানা অপরাধীদের ধরতে। আর এই ঘটনাটিও তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


শেয়ার করুন