মিয়ানমারের ৯২ জন জেলে পুলিশে সোপর্দ

SAMSUNG CAMERA PICTURES

টেকনাফ প্রতিনিধি:

গভীর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জল সীমা থেকে নৌ-বাহিনী কর্তৃক আটক মিয়ানমারের ৯২ জন জেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছে এবং ট্রলার এবং ট্রলারে থাকা মাছ ও জালগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা করেছে নৌ-বাহিনী। ৯ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় এ পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। আটক ট্রলার ও জালসহ অন্যান্য মালামালের মূল্য প্রায় ১০ কোটি ৮০লাখ টাকা।
ধলেশ্বরীর টুআইসি কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন জানান, সেন্টমার্টিনের অদূরে ৬০ নটিকেল মাইল দক্ষিন-পূর্বে গভীর বঙ্গোপসাগরে বানৌজা ধলেশ্বরী টহলকালে কয়েকটি ট্রলার বাংলাদেশের জল সীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল। এসময় ১২ ট্রলারসহ ৯২ জন মাঝি-মাল্লাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের জল সীমায় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। যাহা আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি সম্ভব। তিনি বাংলাদেশী জেলেদের ওইস্থানগুলোতে মাছ শিকারে উৎসাহ প্রদানের আহবান জানান।
এদিকে আটক মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা (০১৯ নাম্বার ট্রলারের মাঝি) মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলী জানান, তারা গত ৩ ডিসেম্বর আকিয়াবের ওয়াস্তা নামক ফিশিং ঘাট থেকে এক যোগে ১২ টি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরে মিয়ানমারের জল সীমানায় গভীর বঙ্গোরসাগরে জাল পেতে মাছ শিকার করছিল। এসময় ¯্রােতের টানে বাংলাদেশ জল সীমায় পৌঁছলে নৌ-বাহিনীর হাতে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তারা আটক হয়। অপরাপর ট্রলারের (নং- ১৫২) মাঝি মুছা আলীর ছেলে হাসান আলী ও আমির হোছনের ছেলে জয়নুল আলী (ট্রলার নং- ০২২) একই কথা জানান।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান খোন্দকার ৯২ জন মিয়ানমারের মাঝি মাল্লাকে নৌ-বাহিনী কর্তৃক থানায় হস্থান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ডিসেম্বর টেকনাফের সেন্টমার্টিনের বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌবাহিনী জাহাজ ধলেশ্বরীর সদস্যরা বাংলাদেশ জলসীমানায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মৎস্য আহরনের সময় ১২টি মাছ ধরার ট্রলার,বিপূল পরিমাণ মাছ ও জালসহ ৯২ মাঝি-মাল্লা এবং জেলেকে আটক করেছিল।


শেয়ার করুন