মিরপুর ‘জঙ্গি আস্তানায়’ তিন মরদেহ


ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ তিনটি দগ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। তবে পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো নারী না পুরুষের তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার দুপুরে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মুফতি মাহমুদ খান বেলা পৌনে একটায় বলেন, ভবনটির পঞ্চম তলার একটি কক্ষে তিনটি লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে লাশগুলো দগ্ধ হওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে গতকাল রাতের বিস্ফোরণে তারা মারা গেছে। আমাদের অভিযান চলছে।’

এর আগে বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। সকালে ওই ভবনে তল্লাশি শুরু করে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

র‍্যাব-৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আউয়াল জানান, জঙ্গি আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। তার বাবা ইউসুফ আলী অনেক আগেই মারা গেছেন। ওই আস্তানায় আবদুল্লাহর সঙ্গে তার দুই স্ত্রী ফাতেমা ও নাসরিন ছিলেন। ছিল দুই শিশু ওসামা ও ওমর। সঙ্গে আবদুল্লাহর দুই সহযোগীও ছিলেন।

তিনি জানান, আবদুল্লাহর চুয়াডাঙ্গার বাড়ি থেকে তার বোন মেহেরুন্নেসা মেরিনাকে আটক করে র‍্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

ওই আস্তানার আশপাশে কড়া অবস্থানে রয়েছে র‍্যাব। গাবতলীর দিক থেকে ওই এলাকায় যাওয়ার পথ বন্ধ রয়েছে।

সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

‘জঙ্গি আস্তানা’ ঘিরে রাখার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়িটিতে পরপর তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বাড়ি থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হয়।

বিস্ফোরণের পরে র‍্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিরা নিজেরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘কমল প্রভা’ নামের বাড়িটি ঘেরাও করে র‍্যাব। বাড়ির পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের অবস্থান র‍্যাব চিহ্নিত করে। পরে বাড়ির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

এক প্রবাসীর মালিকানাধীন ছয়তলা বাড়িটির ২৪টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৩টি ফ্ল্যাটের ৬৫ জন বাসিন্দাকে সোমবার রাতেই সরিয়ে নেয় র‍্যাব।


শেয়ার করুন